দুটো সিপাই কবিকে নিয়ে গেল,
ছোট্ট একটা জেলের কুঠুরিতে l
তারা বললো, তুমি রাজদ্রোহী !
কাল তোমার  শাস্তি   মৃত্যুদণ্ডে l
শুধু আজকের রাত পাবে তুমি l
একজন রাতের খাবার দিতে এলো ,
কবি বললো ,একটু কালি দাও ,
খাদ্য চাইনা , একটু কালি l
পেনের কালিটা শেষ তাই ...
তারা পেনটা নিল কেড়ে l
কবি কিন্তু সারা রাত লিখে গেলেন ,
তার ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দিয়ে l
বুকের মাঝের জমানো ক্ষোভ ,
আবার আত্মপ্রকাশ করলো
রক্ত লেখায় । জেলের দেওয়ালে l
তাকে লিখতে হবে ,
শোষনের বিরুদ্ধে , বঞ্চনার বিরুদ্ধে,
অবহেলিত মানুষের জন্য l
পথ তাদের খুঁজে দিতেই হবে l
তার যত রক্ত বিন্দু শরীরে আছে ,
তা দিয়ে প্রতিবাদের ভাষা
শিখিয়ে যাবে নির্যাতিত মানুষগুলোকে
তার শেষ রক্ত দিয়ে l
পরদিন ভোর….
কবির নিথর লাশ l
মৃত্যু খবর ছড়িয়ে  পড়লো l
জেলের দরজার ওপার  ,
অসংখ্য নিপীড়িত মানুষের মাঝে l
কারার ঐ লৌহ কপাটের সামনে l
একে একে জড়ো হলো তারা ,
জড়ো হলো কবির জন্য
একটা গোটা মানব সমুদ্র !
ভেঙে ফেললো
কারার ঐ লৌহ কপাট l
গুলিতে ঝাঁঝরা হলো কেউ ,
কেউ রক্তাক্ত ,
তবু  কবির কাছে তারা পৌঁছালো l
ঘাড়ে তুলে নিল কবির
প্রাণহীন প্রতিবাদী লাশটাকে l
রাস্তায় বেড়ালো সবাই একে একে l
কবি তাদের ঘরের মানুষ l
আত্মার মাঝে জমানো  বিপ্লব l
তাকে শেষ করা যায়না ...
তাকে মুছে ফেলা যায়না ...