কাল্টু মিন্টু দুই বন্ধু
    ভীষন তাদের ভাব,
স্কুল পালিয়ে খেলতে গিয়ে
    নদীতে মারে ঝাঁপ l
কখনো তারা তড়বড়িয়ে
    গাছের ডালে উঠে ,
ডাঁসা সব পেয়ারাগুলো
    নেবার জন্য ছোটে l
ঢিল ছুঁড়ে কাল্টু ডাকতো
    মিন্টু করলে দেরী ,
কাঁচা আম পাড়তো তারা
    করতো মজা ভারী l
কাল্টুর বাবা বড় গরীব
    অভাব সারা ঘরে ,
মিন্টুর বাবা কেরাণী তাই
    সুখ ঘরের পরে l
কাল্টু মিন্টু অনেক ছোটো
    বোঝেনা ওসব কিছু ,
কে গরীব কে সুখী
    ছোটেনা তাদের পিছু l
দুজনে মিলে ফন্দি করে
    ছাড়লো কোলা ব্যাঙ ,
মাষ্টারের ব্যাগ উঠলো ডেকে
    গ্যাঁঙর গ্যাঁঙর গ্যাঙ l
ঘরের পরে নালিস করলো
    ছেলেদের যত কীর্তি,
কেমন করে থামবে তারা
    দুষ্টুমিতে সব ভর্তি l
কানটি ধরে মিন্টুর মা
    রেগে বললো ওরে ,
কাল্টুর  সাথে খেলিস যদি
    পাঠিয়ে দেব দূরে l
মাষ্টার আবার স্কুলে তাদের
    বেতে শাসন করে ,
বসিয়ে দিল দুজনকে
    দুই পৃথক ঘরে l
ছুটির ঘন্টা বাজলে পরেই
    ধরবে তাদের কেতা ,
জ্ঞানের বোঝা দিত ফেলে
    সবই হতো বৃথা l
পড়াতে তাদের মন বসেনা
    করতো শুধু খেলা ,
কেমন করে করবে পাশ
    চিন্তা হতো মেলা l
মিন্টুর বাবা চিন্তা করে
    নিল এক সিদ্ধান্ত ,
ছেলেকে দিয়ে হসটেলেতে
    হলো তখন শান্ত l
কাল্টু মিন্টু  দুই পাড়েতে
    বড়ো হয়ে ওঠে,
একজন থাকে শহরতলে
    কাল্টু  গ্রামের মাঠে l
ভুলে যাওয়া গ্রামের পথে
    মিন্টু এলো রাতে,
বারুদ ভরা গন্ধ নিয়ে
    বাতাস তখন মাতে l
হেঁটে চলে আপন মনে
   কয়েক যুগ পরে ,
হঠাৎ কজন ছন্নছাড়া
    পথ আগলে ধরে l
চোখগুলো জ্বলছে যেন
    হিংস্র বাঘের মতো,
চেঁচিয়ে বলে কোথায় ঘর
    চিন্তে পারি নাতো l
হাতে তাদের কঠিন অস্ত্র
    শাসিয়ে ওঠে তেড়ে,
মিন্টু বলে কাল্টুনা তুই
    ভুলে গেলি মোরে l
কাল্টু তখন অবাক হয়ে
    ফ্যালফেলিয়ে চায় ,
মিন্টু বলে  অস্ত্র ফেলে
    বুকের মাঝে আয় l
কাল্টু তখন ওঠে কেঁদে
    করে মাথা নীচু,
মানুষ আমি হলাম নাতো
    পুলিস নেয় পিছু l
মিন্টু বলে নেই চিন্তা
    বুকের মাঝেই রবি ,
মনের মাঝে গঙ্গা আছে
    ডুবে শুদ্ধ হবি l
শুদ্ধ হয়ে শুদ্ধ করবি
    সমাজটার ওই পথ ,
তোর পাশে আমিও আছি
    নিবি আজ শপথ l
চিরটাকাল পাশেই রবে
    বন্ধু মিন্টু পুলিশ ,
আমরা থাকবো আগের মতো
    করবেনা কেউ নালিশ l