কুমোর পাড়ার দুর্গা মাযে উঠছে সেজে রোজ।
দুইবেলা তাই পড়ার ফাঁকে নিয়ে যাই খোঁজ।
সিংহ রাজার গায়ের পরে পড়ছে মাটির চাদর।
অসুরটা ওই কালো গায়ে মাখছে কালির আদর।
দাও মা ছেড়ে এই কটা দিন রয়না পড়ায় মন।
মন্দিরে ওই দেবীর তরে ধায়রে সর্বক্ষণ।
আকাশ বাতাস উঠলো ভরে আগমনীর গানে।
সোনার রোদে শিউলি হাসি ছড়িয়ে পরে প্রাণে।
শিশির রং দিয়ে আজি আলপনা সব আঁকা।
মনটা কেন বাঁধন হারা ঘরেতে না যায় রাখা।
চিকণ পাতায় চুঁইয়ে পড়ে হলুদ সোনার রঙ।
আকাশেতে মেঘগুলো সব নেয় হাজার ঢঙ...
কাশফুলেরা দুলায় মাথা আগমনীর প্রাতে।
শোনায় কানে কিকথা সব বাতাস শুধু মাতে।
নদীর ঢেউএ নৌকাখানি উঠছে কেবল দুলে।
মাঝি আজ আনমনা তাই ছাড়তে গেছে ভুলে।
শিশির ধোয়া শিউলি ফুলে হবে দেবীর অঞ্জলি।
দীপের আলোয় মাতছেযে মন কোন সুরেগো বলি।
মনের খুশি পাখনা ধরে কেবল  ছুটে চলে।
ঢাকের তালে মনযে নাচে সব গিয়েছি ভুলে।
রংবেরংএর আলোর মালায় সাজছে চতুর্দিক।
জোনাকিরাও পায়যে খবর ছুটি পাবেই ঠিক।
আয় জোনাকি বসবি আয় আমার আঁধার ঘরে।
আলোর মেলায় কাজ নেইতো বাহির পথের পরে।
উৎসবেতে মাতবো মোরা যাবে মোদের দুখ।
ধনী গরিব সবার আজি একই রঙের সুখ।