মর্মের মাঝে কে ডেকে যায় ?
কে অবচেতন মনের দরজায় অবিরত ধাক্কা দেয় ?
যে ডাকের তরঙ্গ  ছড়ায় রাতের নির্জন প্রাণে !
দৈত্য সুনামী সমুদ্রের নীল জলে আনে !
ভয়ঙ্কর শ্রাবন রাত  গভীর গহন অরন্যে !
দুর্বার কালবৈশাখী মনের সব কোণে l
যে ডাক আমার ভারতবর্ষের মানচিত্র  ভেদ করে যায় !
ক্ষতবিক্ষত শরীরে উঠে দাঁড়াতে চায় ..মুক্তি চায় ...
চোখ খুলেই দেখি শশুড় ঘরে বোনের  ঝলসানো দেহ ,
বিদ্ধ  মানবতার পাশে নেই কেহ l
কিংবা পণের কবলে উপড়ে আনা হৃদয় নিয়ে পিতা হামাগুড়ি দেয় !
পরম স্নেহে লালিত কন্যার  লাশ বিচার চায় l
কখনো নিশ্বাস বায়ু আর্তনাদ করে !
ধর্ষিতা মেয়েটির বেঁচে থাকার আর্তিতে চারধার ভরে l
সাক্ষী থাকে রক্তে স্নাত  সবুজ ঘাস !
কোথাওবা জল থেকে ভেসে ওঠে বেকার রূপমের লাশ !
চোখ বুজলেই ভীর করে আসে টুকরো টুকরো ব্যথা...
মর্মে এসে নাড়া দেয়  দুখ ভেজানো কথা l
সীমান্তে গুলির মহড়ায় শহীদ ছেলে আসে রক্ত মেখে ,
পুরানো বারুদের গন্ধে ভরা লাসের বুকে মা মাথা রাখে l
টুকরো টুকরো হাজার ক্ষতে চারধার ভরছে ,
ভারতের গায়ে রক্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে !
উৎসবের কার্নিভাল প্রদর্শনীতে অসহায় দুর্গা সিক্ত !
অন্যপ্রান্তে তারই সন্তান দারিদ্রতার ছোবলে রিক্ত l
কাঁধে বয় মৃত পত্নীর দেহ ,
শ্মশানে চলে আর এক দুর্গা, পাশে নেই কেহ l
মর্মের মাঝে অসহায় ভারতবর্ষ বলে আয় !
আমরা  ধুমকেতু আর উল্কা বানাই l
পুরোনো পৃথিবীর জঞ্জাল ধ্বংস করি !
স্বচ্ছ পৃথিবীকে  আহ্বান করি l
এই আঁধারে কে.. কে জেগে রও ?
এসো একই সূর্যের আলো সমান ভাগ করে লও l