আমি এক তরঙ্গহীন শান্ত এক ঝিল,
আয়নার সাথে অনেকাংশে আছে আমার মিল।
আমার কিনারে উঁকি দিয়ে গাছেরা নিজেরে দেখে,
কখনো বসন্ত কখনো শীত পাতা ঝরার ফাঁকে।
সূর্যটা ওই সারা দিনে নানান রঙে সেজে,
দেখে নেয় মুখখানি তার মোর বুকের মাঝে।
বসন্তর ওই পাখির ঝাঁক মোরে ছুঁয়ে নেয়,
ভাসে তারা অনন্ত সুখে দুচোখ ভরিয়ে দেয়।
আধা চাঁদের রূপের বাহার জোছনা আলোর সাথে,
মোর আয়নায় থমকে গিয়ে যায় আপন পথে।
কালো রাতে জোনাকি আলো, আমায় ভরিয়ে যায়।
ঝিকিমিকি আলোর গানে ছন্দ খুঁজে পায়...
আঁধার রাতে গভীর শ্রাবণ, লুকিয়ে কেঁদে মরে,
তার ঝরা দুঃখগুলো জমাই বুকের পরে।
রোজ এমনি হাজার ছবি, মোর আয়নায় ধরি।
হাসি কান্নায় মিলে মিশে জীবনটা পার করি।
সাদাটাকে সাদাই দেখি, কালো দেখলে কালো।
বিকৃত হয় না কভু, যেমন যারা মেলো।
সবার তরে বাড়াই বাহু, আমার জীবনভর,
মোর আয়নায় হয়না ভেদ, আপন কিংবা পর।