শিশির ডালি ভরিয়ে কুসুম  শরৎ কেনো এলি।
জানিস তুই এই ঘরেতে দুখের  প্রদীপ জ্বালি।
শিউলি পড়ার শব্দে আমি হঠাৎ উঠি চমকে!
গগনের ঐ চাঁদটা তখন  হোথায় থাকে থমকে।
বন্ধুত্বটা তার সাথেযে কোনসে যুগ ধরে।
মেঘের ঐ ফাঁক দিয়ে সে আসে দাওযার পরে।
চুপে চুপে গিয়ে তখন বসি দাওয়ার মাঝে।
ও একা আমিও একা দুখের কথা বোঝে।
কুমোর পাড়ায় অঙ্গে দেবীর চলছে তুলির টান,
নতুন জামা হয়নি খোকার ভারাক্রান্ত প্রাণ।
বোঝেনা সে  নতুন জামা কেমন করে আসে।
বোঝে সেতো মন্দিরেতে  ঠাকুর যখন বসে।


সেদিন খোকন খেলতে গিয়ে  ছোট্টো হাতের মুঠি।
ভরে নিয়ে আনলো দেখি কাঁশ ফুলেরই ঝুঁটি।
বললো মাগো তোমার জন্য কি এনেছি দেখো।
এইযে হাতে সোনার শরৎ যত্নে তুলে রাখো...
আদর করে বলি খোকোন ভরে দুটি আঁখি।
দামী শরৎ দুখের ঘরে  কোথায় এযে রাখি!
আসবে শরৎ ভাঙা ঘরে আসবে প্রাসাদ পারে!
সুখ দুঃখর তফাৎ ভীষণ  বিচার জানে  নারে।