বেশ  ছিলাম বাপের ঘরে বিয়ে আমার হলো,
কুলীন ঘরের ভণ্ড প্রথায় জলে ফেলে দিল!


স্বামী আমার আশির কোঠায় আমি কেবল ষোলো,
বুকের মাঝে সাজান স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল!


করবো কি আর সেই বুড়াকেই করি আমি আপন,
বিবেকটুকু বিকায়নিতো তাইতো করি যাপন।


একদা এলো জীবন পথে  দুঃস্বপ্নর রাত,
স্বামীর  হল মরণ আর আমিও কুপোকাত।


মোড়লরা সব নিয়ে গেল শশ্মান ভূমির পারে,
বলে সবাই সহমরণে পুণ্যখানি বাড়ে!


টলে গেল অঙ্গ মোর বুকে হাজার বাজ,
চিতার উপর তুললো সাথে দিয়ে ফুলের সাজ।


জ্বালিয়ে দিল চিতার আগুন ভিজা কাঠের গায়,
কুণ্ডলীত ধোঁয়া তখন  অন্ধকারে ছায়।


সেই সুযোগে এক লাফে পড়ি নদীর জলে,
সাঁতার কেটে বেহুঁশ হয়ে  ভাসি ভিন কূলে।


শিরের কাছে কাউকে যবে চোখ খুলে দেখি,
মা বলে করে সম্বোধন মায়া ভরা আঁখি!


নতুন বাবা হলো সে আজ দিল নয়া প্রাণ,
সেই ঘরেতে থাকি রোজ পাই মেয়ের মান।


বাপ মেয়েতে রোজ মোরা মাটির পাত্র বানাই,
এ বাপ বুঝি আপন বড়ো  কৃতজ্ঞতা জানাই।