একটা মনের মানুষ চাই,
বয়স আমার এই ফাল্গুনে তেইশ হবে।
এই পৃথিবীর জনারন্যে,হারাবোনা তাকে পেলে!
সে আমাকে পথ দেখাবে পাশে থেকে।
কিছু ভুল হলে সে ছুঁড়ে ফেলে দেবেনা কিংবা
অন্তঃসত্ত্বা থাকলে বলবে খেয়াল রেখো,
হোঁচট খেয়োনা…


কথাগুলো বললাল
কারণ আমার দিদির কপাল পুড়েছে
তাই তাকে কথায় কথায় ব্রেকআপএর জুজু দেখাতো
তার মনের মানুষ।
একদিন দিদি ব্রেকআপ এর ভয়না পেয়ে,
কিছু সত্যি কথা ছুঁড়ে দিল
আর সে স্বামী ঘর করেনা।


কিছু বন্ধু আছে দরকারে আসে তারপর
পরিযায়ী পাখীর মতো উড়ে যায়,
যারা বন্ধুত্বের প্রকৃত অর্থ বোঝেনা
স্বার্থের আকাশে ডানা মেলে,
তাদের মুখে মুখোস দেখি...
তবে একটা বন্ধু আছে লতা
আমাকে যেন জড়িয়ে  থাকে।
যখন তখন আমাকে বিরক্ত করে
গালি দিই, কিন্তু তাকে একদিননা দেখলে
দিনটা অসম্পূর্ণ রয়ে যায়।
একদিন ও আমাকে রক্ত দিল,
আমি চোখ খুলে  দেখলাম ওর চোখে জল!


আমার এক আত্মীয় কাকা,কি কথাতে
সেদিন মা বলছিল তাকে অনেকদিন ইলিশ খাওয়া হয়না
অভাবের সংসার বুঝতেই পারছো ঠাকুরপো,
কয়েক দিন পর...
একটা ইলিশের অর্ধেকটা এনে বললো
বৌদি, জমিয়ে রান্না করো দেখি কব্জি ডুবিয়ে খাবো।
মা দেখি চুপচাপ দাঁড়িয়ে!
সেদিনের লাঞ্চটা মন্দ হয়নি।
সে আমার বহু বায়না মেটাতো,
বড় হয়ে আর কিচ্ছু চাইনি।
আত্মীয় বুঝি এমনই হয়
কোনো হিংসে সেখানে নয়...


আমার চারধার ঘিরে শুধু ফুল ফুটুক
ভালোবাসার ফুল...বাড়তি কিচ্ছুনা,
সুবাস ছড়িয়ে দিক জীবনের প্রতিটি ডালে ডালে,
সুবাস ছড়াক কখনো বন্ধু, কখনো সুজন, কখনো
বসন্তের পাখি হয়ে...