আমার লেখাগুলো দেখে খুব হাসি পাচ্ছে বুঝি?
তা তোমার মতো, দিন রাত্রি আমারতো লেখা হয়না,
অত সময়ইবা কোথায়!
আমি মেয়ে মানুষ, কতো দায়িত্ব…
লিখলে হয়তো তোমার মতো আমিও…
না’গো, ঠাট্টা করলাম।
বড় জমিদারী তোমাদের,
জীবনে বাঁচার নূন্যতম চাহিদার জন্য সংগ্রাম,
তোমাকে করতে হয়নি কোনোদিন...
আমিতো বাঁচার জন্য সুর খুঁজি…
আমার লেখার গভীরে অন্ধকারটা পথ খুঁজে বেড়ায়...
ওই লেখায়, আজ নতুন সুর বেঁধে দেবে?
বড় তোমার মন,আমাকে বঞ্চিত করবেনা জানি।
আমার দরিদ্র লেখা, বেনারসি সুখ পাবেনা তাও জানি!
তবু বড় লোভ হয়, নিজেকে সীমার বাইরে
তুলে ধরতে খুব ইচ্ছে করে!
কিন্তু কি আশ্চর্য দেখো,
সব জায়গায়তো, তোমারি আধিপত্য।
এ পৃথিবীর সব রূপ, রস, গন্ধ ছিনিয়ে নিয়ে, তোমার
লেখাতেই উপুড় করে দিয়েছো।
তোমারই লেখার ছন্দে আকাশ রাঙে!
অস্ত রাগের সূর্যের হাতছানিকে সুরে ভরাও।
ঐ তিন পাহাড়ের হাসি, কান্না তোমারি ছন্দে লালিত।
পল্লীবালার জীবনের রঙ তোমারই ছাঁচে রূপ নেয়!
জন্মের সুখ, মৃত্যুর তমসা তোমারই সুরের ঝংকারে দোলে।
বসন্তের মাতলামি, শ্রাবণের কান্না, তোমার পাতায় কথা কয়!
প্রভাত পাখি, তিরতিরে নদী তোমর কালির আঁচড়ে সাজে।
চাঁদ,তারা …অনন্ত!
তাইতো ভাবি, তুমি কিছুইতো বাকি রাখোনি!
তোমার হিংসুটে কলমের ডগা দিয়ে,
জীবনের সব রূপ নিংড়ে নিয়ছো!
কিছু লিখতে গেলেই ছিবড়ে  হয়ে ধরা পরে।
ইস, খুব রাগ হচ্ছে বুঝি?
তোমার বউঠান একটু তামাশা করলো।
নাকি... তোমাদের প্রাসাদে সেটাও বারণ আছে?
আচ্ছা ঠাকুরপো, তুমি ভেসে যাওয়া
শরৎ ঋতুর  মুক্ত সাদা মেঘ দেখেছো?
শ্রাবণের শেষে, ওদের সব কাজ ফুরিয়ে যায়...
ওরা কেমন যেন, মন কেড়ে নিয়ে চলে যায়...
ওদেরকে একবার জিজ্ঞেস কোরো!
তারা আমার ছুটির খবর  নিয়ে আসবেতো?
বুকে বেঁধে নিয়ে নতুন সুর,
আমিও তাদের মতো ছুটির আনন্দে,
পালতুলে ভেসে যেতে চাই দূরে, আরো দূরে...
নিখিলের শেষ সীমানায়…