তোকে কত দিন দেখিনি,
তোর নিটোল গাল আদরে আমার গাল ছুঁত...
সাথে সবুজ বায়না!
আমাকে সর্বক্ষণ ভিজিয়ে রাখা কথার কাকলি
প্রতি নিশ্বাসের ফাঁকে কেবলি মনে পড়ে…


তোকে এ মাটিতে মিলিয়ে দিয়ে
নিঃস্ব হয়ে যখন ঘরে ফিরলাম,
তৃতীয়ার চাঁদ তখন অস্ত গেছে!
গহন আঁধারে তোকে হারিয়ে অসহায় এ আমি…
তবু অবিরাম খুঁজছিল এই চোখ!
তোর মা ডাক আমি স্পষ্ট শুনেছিলাম...
তুই আবার আসতে পারিস,
আমায় ডাকতে পারিস,
কথাটা বড় বেমানান হলেও সত্য!
তোর আর আমার মাঝে এক উঁচু দেওয়াল আজ,
তুই ওপারে আর আমি পৃথিবীর এপারে রোজ হই ক্ষয়!


তবে তোর ঘামে ভেজা শাড়ির আঁচল,
আজও খুব যত্নে রাখা, তোর গায়ের গন্ধ মাখা...
তোর কপালে হাতে গলায় বুলিয়ে দিতাম!
আর যত্নে রাখা তোর কোল বালিশটা,
যেটা ছাড়া তোর ঘুম আসতোনা।
মাঝে মাঝে সেটা আমার দুই হাতের স্পর্শে আঁকড়ে ধরি,
কভু চোখের নোনা জলে ভিজে!
ভিজে  জোছনা, রজনীগন্ধা আর দূরের তারা...
জোনাকী, নিরব নিশিও...
আমার ঘুমের ডান হাত তোর মাথা খুঁজলে হতাসায়
ছটপটিয়ে ওঠে, তুই পাশে নেই... মনে থাকেনা!
একটা উত্তর তুই দিয়ে যা...
তোর সাথে গাঁথা আমার হাজারো স্মৃতির আঁচড়...
সর্বক্ষণ আমায়  ক্ষত বিক্ষত করে,
কবে হবে তার মুক্তি…আমিযে পথে বসে!
মুক্তি চাই...


তুই সেদিন দিলি হাত ছেড়ে...
পরের প্রতি দিন দগ্ধ এ হৃদ আরো কালো হয়,
যন্ত্রণাগুলো প্রতি পল আরো সতেজ হয়!
প্রতীক্ষা রোজ করি...

আগামী ভোরে নতুন ফুলের সুবাসে আর রাখিনা প্রত্যয়,
জানিস, আর আমি চাঁদ দেখিনা!
নতুন স্বপ্নও কক্ষনো চোখে ভাসেনা,
স্বপ্নগুলো কফেন বন্দী চির ঘুমে...
কোনোটা হঠাৎ যদি জাগে,
ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিই!


আমার নীল কষ্ট ভাসাই আঁধার রাতের স্রোতে,
শুধু একা তরী বাই...
পৃথীবিটা যেন স্তব্ধ মনের গহন আঁধারে!
তুই নেই তাই...ব্যর্থ আমি, ব্যর্থ আমার আকাশ,
আর কখনো রামধনু উঠবেনা...
আমি অসম্পূর্ণা!