সভ্যতা ও জন্মান্তরে বশত, পৃথিবীর কথা
তথাপি গ্রহ সময়কাল, নয় কোন রূপকথা
বিচরণে নানা যুগ, সমাজ বিবর্তনে ইতিকথা
গ্রহ বসবাস ও মানব বিকাশের, গল্পকথা॥


বর্ণিত সময় তথা, আদিম মানুষের ইতিহাস
প্রযুক্তি ও প্রাগৈতিহাসিক, মানবজাতি র বসবাস
প্যালিওলিথিক, পুরা প্রস্তর যুগে গোড়াপত্তন
পাথরের যন্ত্রপাতি, অধিকন্তু আগুনে বিবর্তন॥


প্রায় ৯৫% জুড়ে ই রয়েছে, এই যুগ পুরা প্রস্তর
২.৬ মিলিয়ন বছর আগে, হোমিনিনিনের স্তর
অস্ত্রালোপিথেচিনের তৈরি, পাথরের যন্ত্রপাতি
দশ হাজার বছর পূর্বে, বিপ্লবের রোমাঞ্চকর গতি॥


আদিম যুগ হতে প্রাপ্ত, সবটা প্রত্ন তাত্ত্বিক স্বত্ব
প্লাইস্টোসিন যুগ, শেষ পর্যন্ত এর বিসৃত তত্ত্ব
লিখিত দলিলি ক যতটা প্রমাণ দির অধিগ্রহণ
লিখনীর আবিষ্কার, প্রাচীন বাস্তব সংরক্ষণ॥


প্রাগৈতিহাসিক সূচনা র ঘটে, পুরা প্রস্তর সাজে
নব্য প্রস্তর যুগ শুরু হয়, কৃষি বিপ্লবের মাঝে
সভ্যতা প্রবেশ করেছে মানব, দুই স্তর ভাগে
কৃষি র বিবর্তন, খ্রীষ্টপূর্ব ৮০০০ বছর আগে॥


নব্য প্রস্তর যুগের প্রধান, উদ্ভিদ ও পশুপালন
নিয়মিত পদ্ধতি, রপ্ত করেই, ফসল রোপণ
মানব সভ্যতা ও বিপ্লবের মাইল ফলক কৃষি
এর সুফল মানব, যাযাবর থেকে স্থায়ীবাসি॥


আবাদ যোগ্য উদ্ভিদ-প্রজাতির ছিলো অভাব
তাই যাযাবর জীবন দর্শন, মুলে আদি স্বভাব
মরু থেকে তেপান্তর, সবুজ বেষ্টনির খোঁজে
স্থানান্তর মূলে মানব, খাদ্য নিরাপত্তা বোঝে॥


ভৌগোলিক স্থিতি র, উদ্বৃত্ত উৎপাদনের ফলে
শ্রেণী গোষ্ঠী ধীরে ধীরে, একত্রিত সদলে বলে
জন্ম দিলো স্ব জাতির ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, কষ্টের পরিত্রাণ॥


এর সুফল সঙ্গে সঙ্গে, কৃষি র উন্নতির ঘটে
শস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিকাশ বটে,
সমাজে শ্রম বিভাগ, কাঠামো ত্বরান্বিত করে
উচ্চ শ্রেণীর উন্মেষ, প্রতি স্থাপিত নগর গড়ে॥


শ্রেণী স্বার্থের কারণেই, নানা জটিলতা বৃদ্ধি
লিখন হিসাবের পদ্ধতি ব্যবহারে, তার শুদ্ধি
উচ্চ শ্রেণী বিচক্ষনতায় শুরু ঠকানো র বুদ্ধি
নিম্ন শ্রেণী নিরুপায় বাধ্য, তাদের হতবুদ্ধি॥


হ্রদ ও নদী তীর বর্তী, এলাকা গুলোর তটে
খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে, বহু শহর গড়ে উঠে
ইতিহাসে তার কিছু নাম, উল্লেখযোগ্য ও বটে
উন্নতি ও উৎকর্ষতা, সভ্যতার বিপ্লব ঘটে॥


ইউফ্রেটিস ট্রাইগিস থেকে নীল নদীর তীরে
সিন্ধু সভ্যতা মূল, ভারতীয় উপমহাদেশ ঘিরে
একই ধরনের সভ্যতা, বাস্তবিক দাবিদার চীন
প্রধান নদী তীর বর্তী শহর গুলি, তাই প্রাচীন॥


প্রাচীন পৃথিবীতে ইউরোপ, অন্যতম ভুমিকায়
ইসলাম বিকাশের সাথে, শোভা মণ্ডিত শিখায়
প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা যদি অন্তর্ভুক্ত ধরি
আদি ইতিহাস কে তবে, আমরা স্তর ভাগ করি॥


৪৬৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত, প্রাচীন যুগের সময়কাল
সাত শতকের মধ্য, ধ্রুপদী-উত্তর যুগ কার্যকাল
৭৫০- ১২৫৮ খ্রীষ্টাব্দ, ইসলামী স্বর্ণ যুগ চলে
১৩শ শতক থেকে ইউরোপীয় রেনেসাঁ বলে॥


১৫ শতকে গুটেনবার্গের, ছাপাখানা আবিষ্কার
সেই থেকে শুরু যোগাযোগ ক্ষেত্র পরিষ্কার
বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সূত্রপাত, মধ্যযুগে সমাপ্তি
বিনিময়, জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রসার মানুষের প্রাপ্তি॥


আধুনিক যুগের সূচনা কাল ধরা হয় এরপরে
১৫শ থেকে ১৮শ শতকের শেষ অবধি ধরে
যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপ, আলোকিত যুগ
শিল্প বিপ্লব হতে বর্তমান সময়, আধুনিক যুগ॥