একটি প্রকাণ্ড ভূমিকম্প প্রয়োজন
একটি বড় ভূমিকম্প
শহর গুলো একসাথে কেঁপে উঠুক
নিঃশেষ হয়ে যাক, যত যুদ্ধ বিগ্রহ॥


সঙ্গে ভেঙ্গে পড়ুক যত দুঃশাসন
এমন ভূমিকম্প হোক
যার মাত্রা হবে রেখটার স্কেলে
নয় দশমিক পাঁচ॥


দুমড়ে মুচড়ে, সবটা ধংস করুক
এমনি চলছে মাথায় কিছু
বাবা, ভূমিকম্প বলো সেটা কি?
প্রশ্ন নিয়ে, আহাদ আমার পিছু॥


আমার ছেলেটা, ছোট্ট বোঝে না
সাদা কাগজে কলম নিয়ে ছুটছি
তাই, এখন আমার কবিতা ছেড়ে
তার আকর্ষণের বিন্দু খুঁজছি॥


ভু-পৃষ্ঠে আছে টেকটোনিক পাত
সদা চলমান নিজস্ব গতিপথ বটে
পৃথিবীর অভ্যন্তরে শক্ত শিলা
পীড়নে, কিছু শক্তির সঞ্চয় ঘটে॥


যদি সেই শক্তি হয় হঠাৎ মুক্তি
ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকে ই কেঁপে উঠে
কম্পন-তরঙ্গে, ভুমিকে দোলায়
আকস্মিক, ইহা ভূমিকম্প বটে॥


এই তরঙ্গ ভূ-গর্ভে হয় সুনির্দিষ্ট
অঞ্চলের উৎস স্থল থেকে ছড়ায়
ভূমিকম্প সদা, কয়েক সেকেন্ড
সর্বোচ্চ, মিনিটেও গড়ায়॥


ভূমিকম্পে, প্রাথমিক ফাটল হলে
ফোকাস বা হাইপোসেন্টার বলে
এপিসেন্টার হচ্ছে হাইপোসেন্টার
বরাবর, মাটির উপরিভাগকে বলে॥


ভূ -পৃষ্ঠ অনেকগুলো প্লেটে গড়া
সমন্বয় হীন, আলাদা ফাটল দ্বারা
নিচে, অভ্যন্তরে, গলিত পদার্থ
সময়ে বিবর্তন ঘটে, এমনি ধারা॥


প্রাকৃতিক কারণে যদি স্থান চ্যুতি
প্লেট বদলাবে, তাহার নিজস্ব গতি
কোন অংশ, অপর টি তলায় ঢুকে
তবেই, কম্পন ঘটে ভূমির বুকে॥


ছোট মানুষ শত কথা, হাজার গল্প
দুষ্টু ভারী, ধৈর্য নিয়ে চলবে অল্প
আর এর বেশি, কোন আগ্রহ নাই
বলছে, বাবা তবে দৌড়ে পালাই॥


বুঝতে পারি সে, আজ ধৈর্য হারা
সে অবুঝ, চিত্ত চঞ্চল মুক্ত ছড়া
বলছে, বাবা চলো দৌড়ে পালাই
কিন্তু, আমার একটা ভূমিকম্প চাই॥