সমুদ্রের বিশালতা দেখেছো
বিশাল ঢেউয়ের সাথে নিজের বন্ধুত্বও করেছো,
অথচ গভীরতাটাই মাপতে পারোনি
কেন সে বার বার গর্জে ওঠে কারণ জানতে চাওনি।
ঝর্ণা তুমি বহুবার দেখেছো
শুধু তার কান্নার শব্দ তোমার কানে পৌছায়নি।


প্রিয়জনের বাঁকা হাসি কোন কালেই বাঁকা মনে হয়নি,
বরং অজানা আনন্দে ভরেছো মন,
চাঁদ কে কখনো তার কষ্টের জন্য কাঁদতে দেখোনি
ভরা পূর্নিমায় দেখেছো তার হাসিমাখা জীবন।
রাস্তায় বেড়ে উঠা ছেলেটার ক্ষুধার্ত পেট কখনো তোমার চোখে পড়েনি,
কেবল দেখেছো তাকে অদম্য, দূরন্ত আর ভূবন ভোলানো সেই হাসি।
ভালো তো তুমি সবাইকেই বাসো,
কেবল মুখ ফুঁটে বলা হয়নি তাকে "ভালোবাসি"।


পুষ্পকাননে হেঁটেছো তুমি,
হাত বাড়িয়ে পরমানন্দে খোঁপায় গুঁজেছ গাঁদা,
কেবল মনেই আসেনি মালির কর্ম
ঘাম ঝড়ানো কাঁদা মাটি নিয়ে তাহার খেলা সদা।
খাঁচায় পোষা বন্যপাখির যত্ন তুমি ঠিকই নিয়েছো
দিয়েছো সোনায় বাঁধানো ঘর,
খালি জানতেই চাওনি কি চায় সে
তাই সুযোগ পেয়েই তোমায় করেছে পর।


মার্বেল পাথরের সাজানো ঘাটে দাঁড়িয়ে
কত বড় বড় রুই কাতলা তুমি দেখেছো, ছুঁয়ে দেখোনি।
রাতের আলোয় জ্বল জ্বল করা জোৎস্না
আর সবুজ থালার পাশে লাল পদ্মটা কেবল চোখে পড়েনি।
অনেক হেসেছো তুমি নিজের সুখে, আনন্দে
দুঃখটা কে করেছ শিকলে বন্দী,
গোলাপ ছড়ানো শয্যায় ঘুমিয়েও
সত্ত্যিই কি সুখটাকে কি করতে পেরেছ সঙ্গী?
১০/০৮/২০২০
(গতবছর লেখা পুরনো কবিতাটা দিলাম। ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।)