ভাবছো, পাগলটা বৃক্ষ হলেই ভালো, খুব শোনাবে কথা।
বলি, বোবা কালায় কেই-বা শোনায় দুঃখগাঁথা!
শেষে আরক্ত মুখে বিরক্ত হয়ে যতোই হও ক্ষীপ্ত
কিংবা অস্ত্র বিনা তর্ক যুদ্ধে একতরফা যতোই হও লিপ্ত
রুদ্ধ করে দ্বার যতোই হাঁকাও জোরসে চিৎকার
কিংবা দেখাও রক্তচক্ষু সাথে নোংরা পঁচা হরেক রকম ধিক্কার,
বৃক্ষ আমি, পাবে আমায় কিন্তু নির্বিকার।
তোমার ইচ্ছে হলে পারতে পারো, গায়ে শতেক খানি পেরেক
কিংবা লাথি, যদি তোমার কমে দুঃখ অর্ধেক!
ভেঙে দিয়ো ডাল পাবো আঘাত
তুলে নিয়ো ছাল, আমার করো অন্তিম সৎকার
তবুও আমার বৃক্ষ হওয়ার চাওয়াই রবে মূখ্য,
আমি বৃক্ষ হবো, বৃক্ষ।
ভাবছো তুমি, বেলা শেষে ভাঙবো পণ করবো সমর্পন?
কিংবা ঝড়ে, পড়বো নুইয়ে কাদা জলে, ভাঙবে মন!
ভেবোনা, চৈত্র মাসে সূর্য ভায়া যতোই থাকুক ব্যগ্র
জৈষ্ঠ্যমাসে পায়ের নীচের মাটি যতোই হোক উগ্র
আমার বৃক্ষ হবার মন্ত্রে, টিকবেনা কোন ষড়যন্ত্র,
আমি ঠিক বৃক্ষ হবো, বৃক্ষ।


০৬/১২/২০২১.
চট্টগ্রাম।