আমি পুড়ি আমার ভিতরেই,
মধ্যিখানে যার লেলিহান শিখা খুব জ্বলছে দাউদাউ
জ্বলছে দু'শ ছটা হাড় কলকব্জা শোকাতুর অস্থিমজ্জা,
ভুলেও রাখেনি কেউ ফুল দেয়নি লাল চন্দন  
নেই কোথাও বিয়োগের মাতম, শোকের ছিটেফোঁটাও।


ওখানে নাকি পুড়ে মুখ নিসৃত সুশ্রাব্য বচন
জমানো সুগন্ধি ঘ্রাণ দোলা দেয়া টাটকা কবিতার পাতা,
আর স্মৃতির মিনার জীবনের খেয়াল,
তাই তৈরি শ্মশান আর নিজহাতে কাটা শুঁকনো কাঠের স্তুপ
উপরে বসে যমদূত পুড়াবেই সে,
ঐ হারমী ভীষণ জেদি শক্ত যার চোয়াল!


তিলে তিলে পুড়িয়ে করে ছাই
শুনতে চায় সে আর্তনাদ গগনবিদারী চিৎকার
অট্টহাসিতে ফেটে যে দেয় জানান আমার শবযাত্রার,
আমি চেয়ে দেখি মাথার উপরে শক্ত আকাশ কালো মেঘ ঘোর অন্ধকার
তবুও নেই শীতল ঠান্ডা জল স্বস্তির হাওয়া শান্তির বৃষ্টি
জ্বলেপুড়ে ছারখার তবুও পুড়ি বারবার
তোমার চেনা রফিক্ক্যা পাগলার শুনশান সেই শ্মশানেই,
আমি পুড়ি আমার ভিতরেই।
০৫/০৩/২০২২
চট্টগ্রাম।