আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
বিধাতা তোমার জন্যে ঐ ভিখারির জায়নামাজের কান্নায়,
বস্তির ক্ষুধার্ত যুবতীর শাক পাতার স্বাদহীন ঐ রান্নায়।
আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি
ভরা বর্ষায় ফসলের ক্ষেত,
ঝুড়ি বানানোর শুকনো  বাশের বেত
কিংবা খড়ের গাদা,
সব ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া বন্যায়।
বিকেলে অস্তমিত সূর্যের আকাশ ভরা রঙ্গিন আভায়।


আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
একহাজার ফুট উঁচু ঐ চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায়,
শত বছর টিকে থাকা বৃক্ষের ছায়ায়।
আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
রাস্তায় থাকা স্বামীহীন স্ত্রী আর তার মলিন মুখের বেদনায়
অনাথ বেড়ে উঠা সন্তানের জন্য কারো ভালোবাসায়,
আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
ভেজা দেয়ালে এঁটে থাকা শ্যাওলা আর কচুরিপানার নর্দমায়।


আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
বইয়ের পাতায় এক যুগ রাখা শুকনো ফুলে,
তোমার আমার অতীত, বর্তমান ভবিষ্যৎ এর করা সব ভূলে।
আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
ছেড়াদিয়া দ্বীপে একলা দাড়িয়ে থাকা কোন ষোড়শীর চুলে,
দূরে গিয়ে ভালোথাকা প্রেমিকের হালে।


আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
নজরুলের দাঁত ভাঙা সব কবিতায়
বঙ্কিমের নরেন বাবু আর বিজয়ার আশাহতের বেদনায়।
আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
বেকারের তিতি পরা সাদা শার্টের ঘামে
কিশোরের বিস্কিট আর লেবেনচুস চুষে খাওয়া কম দামে।


আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
গভীর রাতে স্টেশনে থাকা ঘরহীন মানুষের ঘুমে
রাত জেগে পাহারায় থাকা চৌকিদারের হাঁকে।
আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
তীর্থের মতো বসে থাকা শিকারী বাঘের
ছন্ন ছাড়া জীবন দেখে সুনামগন্জের অপেক্ষায় ঐ বাউলের।
আমি সৌর্ন্দয্য র্খুঁজি,
লাল দালানে থাকা প্রতিবাদি ঐ যুবকের হাসিতে
মূত্যুর মূখে থাকা ঐ বৃদ্ধের, যে চায় বাঁচিতে।
১২/০৯/২০২০