বাবা না থাকলে কখনো জানাই হতো না
নদীর জলে কখন ধরে মাছ কিংবা ঝাঁকি জালের ভাঁজ
পুকুরের জল কতটা হয় গভীর,
কাঁদায় মেখে সারা গা ডুব দিয়ে কখনোই তুলা হতো না
ভ্যাট আর শাপলা ফুল খাল-বিল আর নদীর।


বাবা না থাকলে কি করে জানতাম?
ভাদ্রে দূর্গাপুরের মেলা সেই....কত দূর,
কেমন করে উড়ে মানব ঘুড়ি আর নাগরদোলা,
মাকে ফাঁকি দিয়ে ধান চুরি করে কখনোই খাওয়া হতো না
মদন কাকার গরম চানাচুর সকালবেলা।


আমার বাবা না থাকলে ভুবন মাঝে
ঢাঁঙর হয়ে কখনোই চেনা হতো না কল্যাণীদের বাড়ি,
সেই প্রথম সেই শেষ দেখা তাকে
কথায় কথায় কখন যে দিয়েছিলাম আড়ি।
আর দেখা হয়নি তাঁকে,
শুনেছি, বিয়ের দিন একটি বারের জন্য দেখতে চেয়েছিল আমায়,
আর এখন হয়তো সেই চায় না হয়তো ঘৃণায়।


বাবা না থাকলে জানতেই পারতাম না,
নিজে না খেয়ে কেমন করে হাসি মুখে সন্তানে খাওয়াতে হয় খানা,
চকলেট আর লেবেনচুসটা তাঁর কাছ থেকেই চেনা,
পশ্চিম আকাশে হেলানো সূর্য টা দেখিয়ে বলতেন,
" জানিস! ঐ, ঐ দিকটায় কাবা?"
আজ আমি কত কিছু জানি,
ভালো জানি কেমন করে হতে হয় বাবা।
২২/০৮/২০২১.
চট্টগ্রাম।
*অনুরোধ থাকলো কোন অসঙ্গতি বা ভূল থাকলে ধরিয়ে দেবার জন্য।