তুমি ভাবছো, বন্ধু তো সেই
যে তোমার সমকক্ষ।
যার আছে অনাবাদি চাষের জমি
যে লিখে দেবে নির্দ্বিধায় অযুত লক্ষ নিযুত কোটি দ্রাঘিমাংশ,
আর তুমি তাতে অষ্টপ্রহর সন্ধ্যা রাতে
করবে চাষ রজনীগন্ধা সন্ধা-মালতী সাদা শিউলি
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত বারোমাস।
আরামছে নেবে সু-ঘ্রাণ কালো লোমের ভেজা বক্ষ!
তুমি ভাবছো, বন্ধু তো সেই
যে তোমার সমকক্ষ।


তুমি ভাবছো, হ্যান্ডসাম যুবক সুললিত কন্ঠস্বর
যার আছে কেনা সুখের তিনতলা গোডাউন,
যে তুড়ি মেরে করে হাজির
খানসামা আয়া-পেয়াদা আরো কতক উজির-নাজির।
তুমি ভাবো, তার বিশাল সমুদ্রে তুমি একাই নাবিক
একাই করবে রাজত্ব পদব্রজে প্রাতঃভ্রমন সান্ধ্য বিচরণ!
খুঁজে দেখো তার-ও আছে দীনতা না-পাওয়ার হাহাকার
তার-ও পৃথিবীতে চলে খরা ঘূর্ণিঝড় দুর্ভিক্ষ
আর তুমি ভাবছো, বন্ধু তো সেই
যে তোমার সমকক্ষ।


তুমি সুখ সুখ করে খোঁজো না স্বর্গ
খুঁজো তোমায় করবে সুখী এমন একটা চওড়া বক্ষ
সাদা কিংবা কালো শুধু দেখো
সুখী করার কাজে সে দারুণ পটু দারুণ দক্ষ,
মনে রেখো, আসল বন্ধু তো সেই
যে মনের সুখে তোমার সমকক্ষ।
০৬/০৫/২০২২
চট্টগ্রাম।