আমার চেনা ছোট্ট শহরের ছবিটা
আমি চিনি তার সব সবটা,
আমাদের রং করা স্কুল,
স্কুলের মাঠের বড় বটগাছ,
বৈশাখ আর বসন্তে হুলস্থুল
আমরা ওখানেই তো করি নাচ।


ঐ-যে দেখা যায় ফকির বাবার মাজার,
ওখানেই জুম্মাবার
গরীব দুখি একসাথে সবাই করে আহার।
কদিন আগে কোত্থেকে যে উড়ে এসে
করলো আস্তানা এক অচেনা পাগল বেশে
দাড়ি এই এত্তো বড় লম্বা! একটু কাশে।
আমরা সবাই ছিলাম ভয়ে
শেষে মাতব্বর কাকুই দিলেন তাড়িয়ে,
তার আদি-অন্ত সবি আছে আমার জানা,
বলতে শুধু আছে একটু মানা।


তুমি যদি আমাদের এখানে এসে হারাও
আমাকে ডেকো, আমার সব আছে নখদর্পন,
তুরি মেরে বলে দেবো
কোথায় আছে কটা মসজিদ মন্দির প্রাঙ্গন।
আর ভালো জানা
সাত সাতটা খেলার মাঠের ঠিকানা,
করিম মাঝির ঘাট কবুলতলার হাট
আমি চিনিয়ে দেবো সব, তুমি ভয় পেয়ো না।


বাবা যেখানে বসে সকাল সন্ধা
কাকুদের সাথে রোজ দেয় আড্ডা,
সেই হারু কাকার মাছের খামার,
বেশি দূরে নয়, ডাব্বা
হালিমদের বাড়ির পাশেই জানা আছে সবার।
দুলারিদের কাঁচামিঠা আম আর বেদানা
ডিম পেড়ে দেয়া শালিক পাখির ছানা
তেতুল গাছের ঐ বাসাতে আমি রোজ দেই হানা।
শুধু তোমাকেই বললাম আর কেউ জানে না!


যদি তোমার লাগে চিতলমাছের ঘুড়ি
আমাকে জিজ্ঞেস করো
আমিই বলে দিবো কোথায় আছে ভূরি ভূরি।
হেমন্তে বেখৈরহাটি বাজারের সার্কাস মাঠ
আমার কিন্তু তাও চেনা, চেনা সব পথ ঘাট।
২৬/১২/২০২০