ছেলেটা বলেছিল,
বিয়ের পর আমাকে নিয়ে স্যাটেল হবে
পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশ গুলোর একটায়,
তার দামী গাড়িটায় চড়িয়ে
শপিং এ নিয়ে যাবে এশিয়ার সবচেয়ে বড় শপিং মলটায়।
কিনে দেবে কোটি টাকার হীরের আংটি
শোবার ঘরের মসৃণ দেয়ালটায় ঝুলিয়ে রাখবে
লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনালিসা আর
পেট্রানাস টুইন টাওয়ারের ছবি।
বুর্জ খলিফা থেকে কিনে দেবে লাখ টাকা দামী আতর,
ক্রেডিট কার্ডে ভরে রাখবে আমার ভ্যানিটি ব্যাগ
দামী শো-পিসে সাজিয়েও রাখবে ঘরের প্রতিটি কোনা;
তবুও টলাতে পারেনি আমায়
না-ই শুনতে হয়েছিল তাঁকে শেষমেশ।


আসলে এতো অল্পতে বিকোতে ইচ্ছে করেনি নিজেকে,
স্বার্থপর লোভীর মতো চেয়েছিলাম তাঁর পুরো আকাশটা।
তাঁর পেশিবহুল বাহু, প্রসস্থ চওড়া লোমশ বুক
আমার চাওয়ার লিষ্টে কখনোই ছিলো না
ছিলো ছুঁয়ে দেখা তাঁর চোখের স্বচ্ছ জল
পড়ন্ত বিকেলে একসাথে চেয়েছিলাম দেখতে
লাল পদ্মে কেমন করে খেলে দুষ্ট কিশোরের দল।
হীরের আংটি বদলে চেয়েছিলাম
অমূল্য তাঁর হাতটাই যেন রাখে আমার হাতে
খুব ভোরে খোঁপায় গুজবে কুঁড়ানো শিউলি ফুল।
চেয়েছিলাম তাঁর সাথে কিছু স্মৃতি
আমিও রাখবো জমিয়ে
বৃদ্ধ বয়সে সম্পদের পাহাড়ে
যা চাপা পরবে না, হারিয়ে যাবে না
অথচ, একটু একটু করে অজান্তেই দেবে দোল।


১৩/০৭/২০২২.
ময়মনসিংহ।