পিংক কালারের গ্লসি দেয়ালটায় ঝুলছে তোমার ছবি,
দাঁড়িয়ে দেখছি আর ভাবছি পুরোনো কতো কি!
মনে পড়ে অনেক ঘুরে হাজারটা দোকান দেখে বাছাই করে
তবেই না তুমি আমি এনেছিলাম এই রং,
সারাটা দিন দাঁড়িয়ে দেয়াল ঘষিয়ে তারপর কাঙ্ক্ষিত ফল।
মিস্ত্রিকে অবশ্য কড়া ভাষায় আগেই দিয়েছিলাম বলে,
যেনো নিখুঁত হয় সব নইলে মাইনে কাটবো এই ছলে।
তোমার মনে আছে?
রংয়ের দোকানদার কি বলেছিলো! বলেছিলো,
"দাদা, এতো ছোট্ট সাধারণ ঘরে দামী রং কেউ ব্যবহার করে?"
আমি হেসেছিলাম। ঠোঁটের কোনে লুকিয়ে রেখে প্রাপ্তির হাসি।
তুমি তো আর আমার কাছে সাধারণ কেউ ছিলে না,
আমার ভালোবাসার সাত সমুদ্রের একছত্র অধিপতি, আমার গল্পের নায়ক
যার বিন্দু বিন্দু জলে নিত্য মিটাতাম আমার অতৃপ্ত তৃষ্ণা
সুযোগ পেলেই সূর্যস্নানে হেলিয়ে গা বলতাম ভালোবাসি।
সেই তোমার জন্য তোমার ঘরটা সাজাবো সেও যেনতেন রং-এ? না চলে?
আজ সেই তুমি নেই, দেয়ালটার রং তেমনি আছে।
কতো জনে কতোবার বলেছে,
"বদলে ফেল রং, যে তোরে আষাঢ়ে কাঁদায় ভরদুপুরে
কি লাভ তাঁর রেখে যাওয়া স্মৃতি বাজনাহীন নুপুরে?"
আমি হাসি কেবল হাসি!
এ ঘরের প্রতিটা ইঞ্চি ইঞ্চি দেয়াল কিংবা পদতল
লেগে আছে যার স্পর্শ, তারে ভুলি কেমন করে কোন ছলে?
দেয়ালের রং হয়তো পাল্টানো যাবে,
কিন্তু মন! দেহের ভিতরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে রং ছড়িয়ে সে গেছে, তার কি হবে?
মুছা কি যাবে? না পারবে কেউ?
২৪/১২/২০২১
ময়মনসিংহ।