সবে ফিরে বাজার নিয়েছি পেতে চেয়ার
খাব বলে শান্ত হাওয়া যেই বসবো চাওয়া,
ওমনি গিন্নি এলো তেড়ে যেন বাঘ নেকড়ে
বলল, "শুনি এটা এনেছো কি!"
"নাইলনের দড়ি!"
"এটা কি তোমার জন্যে না আমার জন্যে?
তুমি ঝুললে ঠিক আছে, আমি ঝুললে যাবে ছিড়ে।"
বুঝলাম হেয়ালি, একটু পর উঠবে ঝড়,
মারার আগে বাঘ মামা দেখছে একটু নেড়ে।
আমি শুধু বললাম "তুমিই তো বললে আনতে দড়ি।"
"পোড়া কপাল! ক'দিন আগেই না শেষ হলো বাড়ি!,
যাও, দেখে এসো গেরেজে কতো আছে পরি।"
ভাবছি, এতো সবে শুরু আরো শোনতে হবে কতো কি!


"আগে জানতাম মাথায় আছে ছিট
এখন দেখি কানেও শুনে কম, আন ফিট।
বাপটা আমার ঠিক গেছে ঠকে,
বিয়ের আগে নেয়ার ছিল দরকার একটু বাজিয়ে।"
বলতে বলতে বৌ ছুটলো রান্না ঘরে।
আমি জানি,
কড়াই খুন্তির ঠোকাঠুকি শেষে আসবে আবার ফিরে।
বুঝলাম ততক্ষণে ধান শুনতে গিয়ে শুনেছি ভান,
ভাবছি, দড়ি টা যে হবে কি?
দুধ, ডাল, নাকি দরবেশ বাবার মিষ্টি পান!
ভারী টেনশন! বৌ বলেছিলো টা কি আনতে?
বললাম কেষে, "কিন্তু তুমি বলেছিলে টা কি, পারি জানতে?"
উঠল চেঁচিয়ে, বলল, "দই, আনতে বলেছিলাম দই।"
হায় খোদা, দই হয়ে গেল দড়ি!
আমার তো মরাই উচিত, কে আছো দাও কয়েকটা ঘুমের বড়ি।
"যাও, এক্ষুনি যাও বাজার,
ফিরিয়ে দিয়ে নিয়ে এসো দই, হাঁদারাম, কালা কোথাকার!"
২৬/০৮/২০২১.
চট্টগ্রাম।
*কবিতার বিষয় বস্তু সংগৃহীত।