দারিদ্র্যতায় মোড়ানো সামর্থহীন বাবা
যার বস্ত্রহীন শূন্য হাতেও পায় শোভা কাঁচের চুড়ি
যে অক্ষমতায়-ও সন্তানের মুখে খুঁজে জান্নাতের সুখ,
অধম স্বামী দারিদ্রতায় যে নিত্য খায় হিমসিম
তার কাছে নতুন শাড়ি জুতো কেনা মানে যুদ্ধে জেতা
বিলাসিতায় খাওয়া থোকা থোকা আঙুর কিসমিস!
ঈদ মানেই তো দেখা
সান্ত্বনায় মাখা আবার সেই স্ত্রীর মলিন হাসির মুখ।
তবুও এরা সবাই চায়
ত্রিশ রোজার পর অন্ধকার আকাশে চাঁদটা উঠুক
ঈদটা আসুক, হাসুক শুষ্ক ঠোঁট।


ঈদের দিনেও ভাঙা ঘরে যার জ্বলে না হাঁড়ি
একবেলা ভালো খাওয়া যার কাছে দুঃস্বপ্নের সমান
সে-ই হতভাগ্য জনমদুখি মা-ও চায়
পিতৃহীন সন্তান টাও তাঁর হাসতে হাসতে ফিরুক বাড়ি,
ঈদের দিন সকালে দুজনে মিলে খাবে এক সাথে
পান্তায় কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ কুঁচি যতোই গলায় করুক কুটকুট,
তবুও বাঁকা চাঁদে ঈদটা আসুক, আনন্দে হাসুক তাঁর শুষ্ক ঠোঁট।


ঈদ মানেই আনন্দ, আনন্দ হাসি একসাথে একজোট,
আসলে ঈদ মানেই ভালো খাওয়া আর নতুন জামা নয়,
ঈদ মানে ভাগাভাগি লেপ্টে যাওয়া রং,
মনের মাঝে রঙিন এক কোট!
০৩/০৫/২০২২
ময়মনসিংহ।