স্নান করবো বলে একদিন ভর দুপুরে ভরা গঙ্গায়
ডুব দিয়েছিলাম তোমার চেনা শহরে
আঁকাবাকা অলিগলি ঘুরে যখন সন্ধা সূর্য কিরণ ম্লান
দাঁড়িয়েছিলাম কাঙ্ক্ষিত পূন্যভূমি তোমার তীর্থস্থান
বাঁক নেয়া নদীর পাড় আর তার জলের আঁধার


গঙ্গার স্বচ্ছ স্ফটিক জলে গা ভিজিয়ে চেয়েছিলাম দেখতে
তোমার কপালের লাল সূর্য নিতে বুকের উষ্ণ পরশ
আর জলের উপর কারো ছায়া খুব চেনা এক মুখাবয়ব
যেখানে অঙ্গুলিতে তুমি খেলো জলকেলি
যেখানে তোমার পদচারণার নিক্কণ ধ্বনি
শুকিয়ে যাওয়া গঙ্গায় শ্রীহীন নৌকা কুচুরিয়াপানার সুপ্ত কলি
মুহুর্তেই জেগে উঠে আবার হয় উৎসব মুখর


অথচ দেখলাম, জলের নীচে পরে আছে
এখানে ওখানে ক'টা হাড্ডিসার মৃতদেহের কঙ্কাল
পাশেই ক্ষুধার্ত কীটপতঙ্গ আর শেওলা ধরা জাল
দেখেছি এখানে ওখানে কংক্রিটের টুকরো দালান
ঘোলাজলে বুক চিড়ে সাঁই সাঁই উঠে যাওয়া এক্সেলেটর
আবাস যেখানে রাঘব বোয়াল আর পৈশাচিক হাঙরের
যেখানে জনতার প্রবেশ নিষেধ, বাঁধা দেয়াল
সূচালো কাঁটাতার রাত্রির আঁধারে পাহারায় রেখেছে চাহনি
জানো, ভেজা কাপড়েই ফিরে এসেছিলাম সেদিন
গঙ্গার জলে আর স্নান করা হয়নি কোনদিন।


০৭/০৫/২০২২
চট্টগ্রাম।