(রাজা ও মন্ত্রীর কথোপকথন)
ঃ হুজুর, রাজকোষ খাঁ খাঁ, একেবারে শূন্য,
    হবে কি করে রাজকর্ম মহৎ পূণ্য?
ঃ বল কি মন্ত্রী, হায় হায়!
     এখন কি হবে উপায়?
ঃ ভাববেন না হুজুর, আছি আমি রাম চন্দ্র গোপাল,
    হবেনা কিছু, আছে তো প্রজা, মাথায় ভাঙবো কাঁঠাল।
ঃ কিন্তু.. উপায়টা কি?
    বসাবে কোথায় কর? সবতো চাষা নয়তো বানভাসি?
ঃ ছোটলোক প্রজারা রাত্রিতে কেন জ্বালাবে কুপিবাতি!
     আর, হুজুর মহোদয় কেন-ই বা দেবেন ভর্তুকি?
     তার চেয়ে দিন বাড়িয়ে তেলের দাম,
     বন্ধ হবে রাত্রি জাগা, কমবে ব্যারাম।
ঃ কিন্তু তাহলে তো বাড়াবে ভাড়া টমটম গরুর গাড়ি,
     অযুহাত যথার্থ, হবে না বাড়াবাড়ি।
ঃ হুজুর, চিন্তা কেন!
    সেখানে আছে কোচোয়ান আর গাড়িয়াল,
    আমরা থাকলে সাথে, কে আর ঠেকাবে?
    তারাও প্রজার মাথায় ঠিক ভাঙবে কাঁঠাল।
ঃ কিন্তু বাড়তি ভাড়া দ্রব্যমূল্যে,
    যখন বেতন বাড়াও বলে বিদ্রোহ করবে রাজ কর্মচারী?
    তখন কি হবে উপায়?
    দরবারের প্রহরায় থাকবে না তো প্রহরী!
ঃ হুজুর, এতে ভয়ের কি আছে? উপায় সোজা।
    আবার নতুন করে প্রজায় বাড়াবো করের বোঝা।
    প্রতিবাদে কে আছে এমন তুলবে মাথা?
    তরবারিতে আমার, তার গর্দান যাবে কাটা।
ঃ হা হা হা...সত্যি তুমি মন্ত্রী রাম চন্দ্র গোপাল,
    আবারও তুমি প্রজার মাথায় ভাঙলে কাঁঠাল!


-০৮/১১/২০২১.
ভারত।