দোলার সাথে আমার প্রথম যেদিন দেখা,
আসলে দেখা নয় মানে মুখোমুখি কথা!
দেখেছি তো বহুবার পথে ঘাটে মাঠে,
সেবার পূজোয় প্রথম চোখাচোখি
মন্ডবের এক কোনায় চন্দ্র নাথের মঠে।
একদিন বিকেল বেলা দৌড়ে এসে পথ আগলে
রোদ পশ্চিমে হেলে পড়লে আকাশ যেমন মোলায়েম লাগে,
এলো চুলে তেমনি হেঁসে বলেছিলো,
"আমার কিন্তু কিচ্ছু নেই,
মা-বাবা নেই ভাই-বোন নেই,
ট্রাঙ্ক ভর্তি শাড়ি গহনা নেই
এমন কি পরার মতো একখানা ভালো ব্রাউজও নেই,
এই এক কাপড়ে বিয়ে করবে আমায়?"
ক্ষণিক থেমে আবার বললো,
"ভাবো, খুব ভালো করে ভেবে নিয়ো,
আমাদের বসতবাড়িটাও সাধু ঘটকের নিকট বন্ধক,
বিয়ের পর যে কানাকড়িও পাবে সে ভরসা নেই,
আবার আমার যে বিদ্যের দৌড়,
তাতে আমার দ্বারা যে কিছু হবে সেও গুড়ে বালি!"
আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম,
বলে কি মেয়ে!
আমার নির্বাকতা ওঁকে বোধহয় ভাবিয়ে তুলেছিলো,
মলিন হাসি হেসে বলেছিলো,
"জানতুম, তুমি করবে না,
শ্যামলা মেয়ের চেহারা হয়তো ভালো লাগতে পারে
তাঁর দুঃখে বৈরাগীও সাজা যায়, লোকে বাহবাও দিবে
তাই বলে বিয়ে!
এই কৃচ্ছ্রসাধন তোমার কম্ম নয় এ আমি জানি,
অনর্থক, তুমি........."
বলেই যে  দৌড়ে এসেছিলো সেই দৌড়েই ফিরে যাবে
বুঝেই খপ করে তাঁর হাতটা ধরে বললুম,
"কৃচ্ছ্রসাধনা অন্ধ হে পথিক,
সাদা কালো ধনী গরিব মেনে হয় না চাতক।"


২৪/০৭/২০২২
চট্টগ্রাম।