এই যে এতো হাসি এতো খুশি
হাতটা নেড়ে মাথাটা দুলিয়ে খুব করছো জয়োল্লাস,
বলি, তুমি কি ভাবো,
হেডমাস্টার তুমি আর তাই তোমার স্কুলে
এমনি এমনি সব করেছে পাশ?
কেউ পড়েনি, কেউ পড়ায়নি!
ছাত্র গুলো ছত্র লিখে এমনি এমনি ভরেছে খাতা?
আর বকলম মাষ্টার গুলো ভয়ে
তোমায় দেখে অন্ধ হয়ে নম্বরে নম্বরে সাজিয়েছে পাতা?
বলি বাগানটা কি আর এমনি ভরে ফুলে?
লাগে না মালি?
কাস্তে কোদাল লাঙল জোয়াল এসবেও তো মাটি দলে,
নাকি দাঁড়িয়ে থেকে আলে, দিলেই হলো তালি?


জানি, ইংরেজিতে খুব পাঁক্কা, মাষ্টার তুমি
তাই বলে ভূগোল, ইতিহাস?
বিজ্ঞানে তো মানো কাঁচা?
অংকটা তো আর এমনি এমনি হয়না
কতো কতো সূত্র মেনে বাঁশের তেলে বাদর ঝুলে
তবেই না পাশ, তবেই মরা বাঁচা।
তবে যে বললে, একাই তুমি সব করেছো,
দাঁড়িয়ে থেকে পাশ করিয়ে ছিনিয়ে এনেছো বিজয়?
আর আমরা যারা সহকর্মী সহযোদ্ধা ছিলাম
সব বোদ্ধ! কিচ্ছু করিনি?
আরে একবার তো নাও নাম!
তুমিও তো মানুষ দেখাও একটু আটটু বিনয়।


আমাদের না-হয় ভুলেই গেলে তাই বলে,
তোমার যারা ছাত্র, পড়ার চাপে চ্যাপ্টা হয়ে করলো এতো সহ্য
তাদের তুমি ভুললে?
এ তোমার ঘোর অন্যায়, ভারী অন্যয্য।
২৮/০৩/২০২২
চট্টগ্রাম।


উৎসর্গঃ আরেক প্রিয় কবি "শাহনুর" কে।


(আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা পরের কৃতিত্ব টাকে নিজের বলে জাহির করে তাঁরও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে। তাদের সাথে কাজ করার যে কি জ্বালা তা ভুক্তভোগী সবাই জানে। তাদের কে নিয়ে লেখা এই রূপক কবিতা।)