প্রশ্ন করেছিলাম স্নিগ্ধ সকালে শান্ত নদীর জলে,
"কোথায় তোমার উথাল পাতাল ঢেউ? "
বিষন্নতায় ঢেকে হতাশার চাদরে মুড়ে বলেছিল,
"সারারাত কেঁদে চোখেরজল দিয়েছি বিসর্জন পাশে ছিল না কেউ।
খরায় ভুগে দীনতায় ছেয়ে আমি নদী দিনকে দিন
আমার হয়েছে কঠিন অসুখ,
লম্পট লোভাতুর চোখ ভালোবেসেই নাকি
খঞ্জরে ঝড়িয়ে রক্ত, দখল করেছে আমার-ই বুক।
যৌবন হারিয়ে হাঁটুজলে বয়োবৃদ্ধ আমি,
আমার বুক এখন শুকনো মরুভূমি,
আমার বুক এখন আবর্জনার স্তুপ ময়লার ভাগাড়
রাখালের চারণভূমি আর আমার-ই হাহাকার।"
আমি হেসে বললাম, "আজ তুমি কাঁদছো!
তোমার জন্যে কতজনে কত কেঁদেছে কতো দিনমান,
তুমি তোমার মেজাজে কতো মানুষের কবজ করেছো জান।"
"পালে লাগলে ঝড়ো হাওয়া
উন্মাদ ঢেউয়ের তোড়ে ভাঙতাম আমি আমারি দুই তীর,
ক্রোধে কতো মানুষের সব কেড়ে করেছি ছন্ন ছাড়া
হাসতে হাসতে অবলীলায় ভেঙেছি স্বপ্ন নীড়।
এতোদিন পর বুঝেছি আমি বাতাসে নড়ে ধর্মের কল,
হয় ভালো সর্বক্ষণ থাকলে শান্ত নদীর জল।"
২২/০৩/২০২১
ময়মনসিংহ।