রাস্তার ল্যাপপোষ্টের আলোয় একটা পাগলকে সন্ধায় দেখলাম
দাড়িয়ে থাকা বটগাছের বাকলে কিছু একটা লিখতে,
পাত্তা দেইনি, পাগল লিখতেই পারে, কাঁদতেও পারে।
একটু পর দেখলাম সত্যি সত্যি অঝোরে কাঁদতে!
কাঁদতে দেখে একটু অবাকই হলাম
বেশ তো ছিলো, হঠাৎ কি এমন ঘটলো কাঁদতে হবে এমনি করে?
ভাবতে ভাবতে মনে হলো দেখি না একটু জিজ্ঞেস করে,
জানি উত্তর পাবো না,
উত্তর হয়তো পাগল নিজেও জানে না।
"কি লিখলে শানু ভাই গাছের ছালে?"
নিজের নামটা শুনে, তাকিয়ে দেখলো তারপর বললো,
"অংক। এ বছর কতো ইনকাম হলো তার হিসেব।"
আমি অবাক হলাম!
পাগলের আবার ইনকাম! চাকুরিটাই বা কিসের?
তবুও কথার সাথে সুর মিলিয়ে বললাম, "মিললো?"
কাঁদো কাঁদো গলায় জানালো,
"না। তাইতো কাঁদছি।"
বলেই হাসতে লাগলো, জোরে আরো জোরে, অট্টহাসি।
আমি আবার অবাক হলাম।
"এই যে বললে হিসেব মিলেনি তাহলে হাসছো কেন?"
নির্লিপ্ত উত্তর,  "তোদের দেখে।
একটা বছর যে গেল, তোদের হিসেব মিলেছে?
আমার ভ্যাবাছেকা অবস্থা দেখে নিজেই বললো,
"তাহলে এতো হাসি কিসের তোদের?
ঢাক ঢোল বাজিয়ে বাড়ির ছাদে পার্টি করো? করো।"
আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো, "মিলাবে, উনি হিসাব মিলাবে।"
আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।
অপেক্ষিত আমার পুঁথিগত বিদ্যার সকল জ্ঞান।
পাগলটার বাঁশি বাজিয়ে যাওয়ার পথটায় তাকিয়ে রইলাম,
শুনতে পেলাম গলা ছেড়ে বলছে, "সাবধান, দুনিয়ার মানুষ সাবধান।
খোদার সাথে বাড়াস নে ব্যবধান।"
৩১/১২/২০২১
চট্টগ্রাম।