স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর
আজো যখন কলমে কন্ঠ রোধে রক্তের গন্ধ পাই নাকে,
ফিরিয়ে দাও।। বলে কান্নার শব্দ বিদ্ধ করে বুকে,
টুটিচেপে ধরে আমারই চলার পথ আমাকেই দেয় দেখিয়ে
নিজেরা বানিয়ে নিয়ম, অনিয়মে কারাগারটা দেয় চিনিয়ে,
তখন বুঝি স্বাধীনতাটা স্বাধীন হয়নি রয়েছে আরেকটু আধার।


স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর
কেন শুনতে হয় শয়তানের প্রতিধ্বনি সম্মুখ বক্তৃতায়?
কেন কুকুরের ঘেউঘেউ দাম্ভিক আওয়াজ টিভির পর্দায়?
কেন দেখতে হয় বিভৎস হাসি পা চাটা গোলামের চেহারায়!
কেন মুক্তিযোদ্ধার অকাল মৃত্যু হয় বিনা বাঁধায়
কেন তারই সন্তান রাজপথে নামে আদায়ে অধিকার,
কেন ভিক্ষার থালি হাতে চোখের জল বয়োবৃদ্ধ পিতার!
তখন বুঝি, সামনে ঠিক আলোহীন অন্ধকার।


স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর
যখন দেখতে হয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ তবুও ভুক্ষারীরা করে হাহাকার,
বাহিরে তুলে শ্লোগান মানবতার ফন্দি আঁটে বাড়ায় দাম মোটা চালে চমৎকার,
উন্নয়নে ভাসিয়ে দেশ নেতারা করে লুটপাট তারাই সাজে জনদরদী সবার,
ক্ষমতালোভী বর্বর মানুষ গুলো কৌশলে বাঁচার সংস্কৃতিটা করে ক্ষমতার,
তবুও মাঝে মাঝে দেখি বিদ্রোহী সাপ ফনা তুলে দেয় জানান নিজ অস্তিত্বটার
তখন বুঝি অচিরেই নীভে যাওয়া প্রদীপের ক্ষীণ আলো,
পুড়িয়ে ছাই করে সব স্বাধীনতাটা ফিরিয়ে আনবে আবার।
২৫/০৩/২০২১
রাজশাহী