কোন সত্য লুকোতে চাও হে ধরণী! কোন সত্য?
দেখিয়ে সাজ কতো কারুকাজ বুঝাও রত্ন, ভুলাও অতীত।
কিন্তু আমি তো জানি,
গাছের পেরোলে সময় পাতা গুলোও বোঝা মনে হয়
করে শিকড় সুদৃঢ় বদলে ফেলে রক্ষাকবচ নিজের পুরোনো বাকল।
সম্ভোগ ঘটিয়ে নিস্তেজ করে ওতো প্রিয়ো ফোটা ফুল,
যার জন্যে ভেদ করে মাটি নিংড়ে নিয়েছিলো খাঁটি নাইট্রোজেন, ফসফরাস, সালফার, পটাশ
আরো কতো রস অচেনা কস,
ধর্না দিয়ে করেছিলো ধার বাতাস আর সূর্যের আলো
মাটিতে ঝড়ে পড়ার আগেও বুুঝেনি সে
প্রিয়জনে প্রয়োজনটা হলে শেষ বাসবে না আর ভালো,
ছুঁড়ে ফেলবে এমনি করে একটুও পাবে না আঁচ।
বনের পশু দিবালোকে করে পর নিজ সন্তান
অস্তিত্বের তাগিদে ভুলে যায় আত্মার সম্পর্ক নাড়ীকাটা বাঁধন,
ছোট্ট মানব শিশু সেও বুঝে
পুরোনো ছেঁড়া বই, পিঠের রংচটা ব্যাগ, কাঠের ছোট্ট পেন্সিল, রাবার
সব সব ফেলে দিতে হয়, ফেলেও দেয়
তুমিই শিখিয়েছো তারে নতুনের গন্ধ মনোরম মনকাড়া,
কেউ রাখে না মনে অতীত
সবাই ভালোবাসে নতুন চকচকে রং করা।
চশমার ভারী গ্লাসে অতি প্রিয় প্রেমপত্রও একসময় লাগে বিরক্তিকর
বুক সেল্ফের দামী বই, দোকানের বহু পুরোনো
খদ্দরের বাকীর খাতা
একসময় ফেলে দেয় দোকানি
ঝামেলা এড়িয়ে খুঁজে পরকাল আর নির্জন ঘর অন্ধকার।
শুধু ভয়, আমাকেও শিখাচ্ছো তুমি নির্মম সত্য,
আমিও হবো অতীত খুব কাছের কারো কাছে
আমার জন্যে জ্বালানো প্রদীপ নিজেই দেবে নিভিয়ে
সুখ গুলো সব নোনতা তেঁতো হয়ে ঠেকবে তাঁর মনে,
হয়তো একদিন হঠাৎ করেই সম্পর্কটাও হবে পুরোনো
বদলে ফেলবে নিজেকে।
২১/১২/২০২১.
চট্টগ্রাম।