সুনেন্দু বলেছিলো,
"আমাকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসিস।"
আমি বলেছিলাম,"সত্যি-ই যদি তুই কাছে থাকিস..."
আমার শেষ করার আগেই ও বলেছিলো,
"তুই আমাকে পাহাড়ের চূড়ায় বসে সূর্যাস্ত দেখার মতো ভালোবাসিস।
কেমন লাল আভায় ছেয়ে যায় গোটা দিগন্ত।
ভরা বর্ষায় স্রোতম্বিনী নদীর মতো ভালোবাসিস,
আমি তোর জলে সারাজীবন ভাসতে ভাসতে যাবো।
শরৎ এর মেঘ দেখেছিস?
কেমন ঘন কালো আর ঝিলিক দেয়া রংধনুর আলো।
তুই মেঘের মতো আমাকে বাসিস ভালো,
আমি তোর বৃষ্টির সাদা জলে গা ভিজিয়ে পবিত্র হবো।
তুই আমাকে বসন্তে গজে উঠা নতুন পাতার মতো ভালো বাসিস,
কেমন গাঢ় সবুজ ঠিক তোর শাড়ির মতো।
আমি তোর আদরে আদরে তোর গায়ের-ই গন্ধ শুকবো কতো।"
সুনেন্দু আর আমাকে ভালোবাসতে দেয়নি,
দেয়নি একসাথে বসে সূর্যাস্ত দেখার অবকাশ,
বৃষ্টির জল সাজতে দেয়নি আমাকে সুনেন্দু
পারিনি সাজতে মেঘ ভর্তি ঘন কালো আকাশ।
তার ভালোবাসার কুয়োয় নেমে জানতেও দেয়নি ভালোবাসায় বাকী ছিল কতটা,
কতো ভালোবাসা পেলে তৃপ্ত হতো মন কাটতো অস্থিরতা।
আমার ভালোবাসায় হয়তো আস্থা রাখতে পারেনি,
হয়তো আমার গায়ের গন্ধ তার মন ভরেনি।
তাই সে পালিয়েছে।
নয়তো ভালোবাসায় খুঁজে সেই হারিয়েছে
অন্য কোন শহর অন্য কোন স্থানে দেবদাসের সাজে।
১০/০১/২০২০