তোমার অন্ধ বিশ্বাস, তুমি চিরকাল থাকবে?
এমনি করে কারো ধ্বংস ডেকে নিজেকে ভালো রাখবে?
তাই তুমি ভেবেছো, কারো বাধাঁনো বাড়ি ভেঙে
তোমার বাড়ির পায়ের তলার টাইলস তুমি বসাবে!
কারো সাধের গয়না বেচার টাকায়,
তুমি ভাবো, প্রিয়তমার মুখের হাসি তুমি কিনবে!
তোমার বিশ্বাস কালো টাকার কালো অন্ধকার তোমায় ছেয়ে যাবে না!
তুমি বুর্জ খলিফার মতো মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকবে,
কেউ তোমার দাম্ভিকতার চূড়ো কখনোই মাটিতে নুইয়ে দিবে না?
তোমার বিশ্বাস, মাটি তোমায় গিলতে পারবে না,
একরের পর একর জমি তুমি একাই গিলে খাবে?
যে তুমি ভিক্ষারীর টাকায় তোমার গাড়ির পেট্রোল তুমি কিনবে
যে তুমি মৃত সহকর্মীর পেনশনের কটা টাকায় লোলুপ দৃষ্টি দেবে
সেই তুমি মসজিদ মন্দিরে বসে বিধাতার কৃপা ভিক্ষা  চাও!
ভেবেছো, তাই তুমি পাবে?


রিকসাওয়ালার ঘামের টাকায় ভাগ বসিয়ে
যে তুমি তোমার সন্তানে শ্রমের মর্যাদা শিখাও,
টাকায় কিনে অযোগ্যকে বিচারের আসনে বসিয়ে
তুমি বিচারটাই তোমার করে নাও,
সেই তুমি জনতার মঞ্চে ন্যায়ের বুলি আওরাও?
সেই তুমি ভুলে যাও,
বিধাতার বিচার বলে আছে কিছু একটাও।


লুট করা মালে ধনী হওয়া যায়,
বিশাল অট্টালিকায় থেকে অট্টহাসিও হাসা যায়,
সুখী হওয়া যায় না,
কারো বিশাল মনের ছোট্ট কোনে জায়গা কেনা যায় না।
তুমি নয় ছয় করা টাকায় নরম বিছানায় শুয়ে থাকতে পরবে,
ঘুম তোমার হবে কি?
তুমি ভাবো, মরণ তোমার কাছে ঘেঁসবে না,
কারো ভালোবাসা মায়া মমতা তোমার দরকার নেই,
তোমার ভাবনা এই পৃথিবীতে তুমিই হবে সবচাইতে ধনী
তোমার মতো সুখী আর হবে না কোন জ্ঞানী।
মনে রেখো, শূন্যে উড়তে থাকা পাখিও মাটিতে নামে,
সব পিছনে ফেলে রেখে তোমাকেও যেতে হবে
এই চলাও তোমাকে থামাতে হবে, তুমিও যাবে থেমে।
১৪/১০/২০২০