সবার সাথে ছিলাম বসে তোমার পাশ
কথায় কথায় চলছিলো তখন কতো কথার ধারাপাত,
তুমি কি জানি কি ভেবে,
হঠাৎ করে!
একটু, এই একটুখানি আমার হাতে রাখলে তোমার হাত।
বাড়ির পাশে হঠাৎ করে পড়লে বাজ যেমন করে লাগে ঝটকা
আমার বোধহয় তেমনি হলো
আৎকে উঠে মাথার ভাঙলো তাজ,
নাহয় মাঘ মাসের তীব্র শীতে, কেউ কোনদিন ঘামে?
শুনেছেন কখনো? কেউ কোনদিন নিজেই শুনে নিজের বুকের
ধপধপানির আওয়াজ?
চারদিকে তখন তমুল তর্ক
তুমিও ছেড়ে বলছোনা কথা,
কাকে যেনো বলছো হেঁকে "গাধা, বোকার হদ্দ!"
আর আমার মনে ভাসছে কেবল মনি.. মুক্তো...
মগজেও সুরের ভেলা তোমার অনবদ্য,
আমি তখন স্বপ্নে দিয়ে ডুব লিখছি কবিতা প্রেমের অমরকাব্য।
একটু পরে সবাই যখন ধরলো রথ বাড়ির পথ
তুমিও তখন অমনি হলে উতলা,
চেয়ে দেখি চারদিক অন্ধকার জোছনায় দিতে ডুব চাঁদ দিচ্ছে ডাক
আমার খুব হলো রাগ, তড়িঘড়ি যাচ্ছে কেন বেলা?
আরো একটু কাটুক সময়, হাতের উপরে রেখে হাত করলে নাহয় অবহেলা,
বাসায় গিয়ে কার-বা আছে কি এমন কাজ?
তবে আমি বাসায় ফিরে রাখবো তুলে আজ
তোমার হাতের স্পর্শ
শুধায় যদি কেউ, নাহয় পেলাম একটু লাজ
রইলো লেগে তোমার ছোঁয়া, থাকলো শত বর্ষ।
১২/১২/২০২১
চট্টগ্রাম।


(কবিতাটি সম্মানিত কবি মার্শাল ইফতেখার আহমেদ কে উৎসর্গ করা। কারণ তাঁর পরোক্ষ অনুপ্রেরণায় লেখা এই কবিতা।)