আমি ব্রহ্মপুত্রের হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে খুঁজি
কাদা মাখা শরীর উনিশ বছরের টগবগে এক কৈশোর,
কূলে বসে ভিজে বর্ষা-বাদলের জলে
আঙুলে গুনে একে একে,
উনিশ বছর আগের স্মৃতি করি রোমন্থন।


এখনো আছে চিত্রকলায় জয়নুল
রাঙায় পা তীর ঘেঁষা কৃষ্ণচূড়ার লাল হলুদ ফুল
সাথে করে নষ্টালজিয়া বর্ষার ভেজা কদম,
সেই সে ঘ্রাণ আজো পায় প্রাণ
উনিশ বছর আগে যেমন ছিলাম মাখা মাখা তরুণ
কেন করে তাড়া সেই সে অণুক্ষণ,
এ-ই এইখানে তোমায় দেখা প্রথম!


হেঁটে পেরিয়ে খেয়া-ঘাট, তীরে দেখি চির কুমার,
দাঁড়িয়ে কুমার উপেন্দ্র বিদ্যাপিঠ জড়োসড়ো আঁটসাঁট
ধূলো জমা টেবিল প্রাস্তর খসা দেয়াল
স্মৃতিতে তাড়িয়ে বেড়ায় লাঠি হাতে খগেন স্যার আলোর মশাল
উনিশ বছর আগের প্রদীপ শিখায় বুড়ো সলতে এখনো জ্বলে ঠিকঠাক মিটমিট!


তটের কাচারি ঘরের চালে কেন পুড়ে মন?
তাকে দেখে কেন খুঁজে ফেরে,
উনিশ বছর আগের রেখে যাওয়া আমার দূরন্ত যৌবন!
ভরা পূর্ণিমায় ডিঙি নৌকায় এখনো উঠে জোয়ার
শুধু পায়ের জোড়ায় শিকারি ব্যথাটা আমার
মাথা-চারা উঠে হরদম।


১৫/০৫/২০২২
ময়মনসিংহ।