প্রিয়ে, ভালোবাসা কাকে বলে আমি জানি না,
জানি না তোমাকে ভালোবাসি কিনা তাও!
শুধু জানি তুমিহীন আমি,
মরা গাঙের মতো মৃতপ্রায় তোমারই চাষের জমি,
অস্থির ছটফট মরণ পথযাত্রী যার একনজর তোমাকে দেখার সাধ,
আমি রাতের ঘুমহীনা ঘুঘু যে একটানা করে যায় আর্তনাদ।
তুমিহীন আমি, দুমরে মুচরে উঠা না পাওয়ার ব্যথা
পেয়ে হারানোর অশান্ত বুক অস্ফুট সকল কথা,
তাই স্মৃতি হাতরে খুঁজে চলি নিউরনে পুরনো খাতা,
যদি তাতে লেখা থাকে আসে ভেসে কালো কালির লাল কিছু সুখ।
তোমার বিছানা বালিশ হলদে জামার লাল ফিতা
খুঁজি তাতে তোমার গন্ধ তোমার স্পর্শ অনুভব,
খুঁজি, ফেলে যাওয়া তোমার টুকরো টুকরো সুখ,
দূর অন্ধকারে গভীর সমুদ্রে খুঁজি বাতিঘরের ক্ষীণ আলো
যদি জ্বলে, যদি তুমি রেখে যাও একটু জ্বেলে ধুপ!
তুমিহীন আমি মরীচিকাময় বিদির্ণ বালু চর
দিগ-ভ্রান্ত হয়ে উদভ্রান্তের মত ছুটে বেড়াই একা অনন্ত পথ
ছুটে বেড়াই এক টানা ক্লান্তিহীন বিরামহীন
ঈশান হতে অগ্নি, বায়ু থেকে নৈঋত,
চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে খুঁজি দু'জনার সুখের শক্ত ভীত।
আমি তৃষ্ণার্থ, বড্ড তৃষ্ণার্থ,
সমুদ্রের এতো বড় জলাধার আষাঢ়ের এতো এলো বৃষ্টি পাহাড়ি ঢল
তবুও প্রিয়ে, তৃষ্ণা মেটানোর কোথাও পাই না একটু জল
কোত্থাও না!
০৮/০১/২০২২
ময়মনসিংহ।