দেবতার পা ছুঁয়ে প্রণাম! ভেবেছো ফেলবে ছুঁড়ে
তোমার আছে যতো পাপ-পঙ্কিলতা আস্তাকুঁড়ে,
আর এমনি তুমি বেহুদা পেয়ে যাবে সব মাফ?
এতোদিন করেছো যা নাইবা থাকলো অনুতাপ।
গতকাল তোমার দেয়া উপহারের সেই অর্ধচন্দ্র
ভোলেনি বেচারা গরীব বলে তো করোনি ক্ষমা!
প্যাঁচে ফেলে মুচকি হেসে সবি সেরেছো শ্রাদ্ধ।
দেবতার মুখ তখন ভাসেনি চোখে আসেনি বাধা?
এখন পূজোর ছলে সেজেছো ভগবান কৃষ্ণ রাধা।
চকচকে কালো টাকা সিন্দুকে যে রেখেছো ঢাকা
ভাবছো, হয়নি অন্যায় করোনি কোন ভূল?
প্রভাতে উঠে গঙ্গার জলে সর্বাগ্রেই দিবে ডুব
আর সাদা দুধে আপাদমস্তক ভেজাবে চুল।
ব্যাস হয়ে গেলো সাড়া নিরেট অর্ধেক কর্ম
বাকি যা আছে মেনে নিবে স্বীয় জাত ধর্ম।
তারপর ধূপ-ধু্নো, দূর্বা ঘাস আর বাহারি ফুলে
সাড়বে পূজো চন্দন কাঠ আর ঝুনা নারকেলে?
ভন্ড তুমি, থামাও ভন্ডামি প্রণামে নোয়াও মাথা!
হেসে হেসে দেবতায় করো নমস্কার মস্করা?
ভাবছো দেবতারা থাকে কেবল মূর্তিমান্‌ পাথরে
নেই গোলাম নেই পাইক পেয়াদা পরাবে হাতকড়া,
আর তুমি করে যাবে সব যা তোমার ইচ্ছে করে?
০৫/০১/২০২১