এক এক্কে এক
জোছনা রাতে চশমা হাতে কে হাসে খ্যাঁক্ খ্যাঁক্!
মাথার উপর দু-ঠ্যাঙ্ তুলে হাতের তলায় দ্যাখ।


দুই এক্কে দুই
সবাই যেন ছাদনাতলায় চাটাই পেতে শুই।
ওমনি করে ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদিস কেন তুই?


তিন এক্কে তিন
অঙ্কস্যারের সীটের উপর বসিয়ে দে আলপিন!!
গোমড়া মুখো দামড়া ছেলে নাচছে তা ধিন্ ধিন্।


চার এক্কে চার
কুন্ডুমশাই মুন্ডুনাচিয়ে গান ধরেছেন, আর-
টাকের উপর পদ্য লেখেন দুইশত এক বার!


পাঁচ এক্কে পাঁচ
তুলসিগাছে গলায়দড়ি দেবই দেব আজ,
রোজ বিকালে সবাই তোরা লুঙ্গি তুলে নাচ!!


ছয় এক্কে ছয়
শ্যামলা রাতে গামলা চেপে কে যেন কথা কয়!
বাবারে, 'পান্তভুতের জ্যান্তছানা' দেখলে লাগে ভয়!


সাত এক্কে সাত
হুঁকোর জলে আলতা গুলে লাগালেই বাজিমাত!
নেড়া গেছে বেল কুড়াতে, কেয়াবাত! কেয়াবাত!


আট এক্কে আট
আলনা খুলে দুই পা তুলে চামচিকে নিয়ে ঘাঁট।
তিনটি বেলা উপোস করে চিবিয়ে খাবি কাঠ!!


নয় এক্কে নয়
নিজের পাছায় চিমটি কেটে করবি রাজ্যজয়?
রোজসকালে দাদরা তালে নাচানাচি আর নয়!


দশ এক্কে দশ
অমাবস্যায় শিলনোড়া নিয়ে নাকের উপর ঘষ,
চৈত্র মাসে শুকনো ঘাসে ন্যাংটো হয়ে বস!