ভাঙ্গা দেওয়ালের এপাশে ওপাশে আবছায়াতে
অন্ধকার জমানো কিছু ব্যাকুল শূন্যতা
দুহাতে গায়ে মাখা কিছু ধুলো, বালি আর
বিমর্ষ ইঁট কাঠ নুড়ি পাথর পড়ে আছে আলেয়ার
মতো; কিছু ছবি ছিল রক্তাক্ত বিষন্নতার।


আলোয় বাড়ে শুন্যতা
অন্ধকারে বাড়ে ভয়,
বাতাস এখানে স্তব্ধ, পূতিগন্ধময়-
টাটকা রক্তের গন্ধ মিশে গেছে বারুদের সাথে।


সবার চোখে চাপা উত্তেজনা
সময়ের সাথে সাথে বাড়ে রাগ, আলোচনা
সবাই দেখতে চায় ভাইয়ের চোখের জল-
অযথা কান্নার ছবি, বিষাদ অতল।


সমাজ তো মানুষই গড়েছে, ধর্মও তাইই
তবে কেন এই হিংসা, বিদ্বেষ, মারামারি অযথাই?
আকাশের নীল মেঘ হঠাৎ কেন কালো?
ভাইরা অসুখী হলে ভাইদের ভালো!


হিংসার আগুন জ্বালাতে হয়না, এমনিই জ্বলে
তবুও যদি হঠাৎ কখোনো কৌতুহলে
নিজেকে প্রশ্ন করো, "কি পেলে?
এতগুলো নিরপরাধ মানুষের জীবন নিয়ে খেলে?"


উত্তর মেলেনি, মেলেনা, মিলবেও না জানি
মিলবে শুধু মৃতের হিসাব আর আহতের তড়পানি।
সমাজ আর ধর্মের দ্বন্দ্ব চিরদিনের; এ বিষও চলবে চিরকাল
জমবে কালো মেঘ, ভাঙ্গবে দেওয়াল।


সৃষ্টির আদিকাল থেকে যে শাপ সমাজকে বেঁধেছে নাগপাশে
তাতে পড়বে রক্তের দাগ দেওয়ালের এপাশে-ওপাশে।


আলোয় বাড়ে শুন্যতা
অন্ধকারে বাড়ে ভয়,
পাঁচিলের দুইপাশে ভালোবাসাও
                                  খুব বিষাক্ত বলে মনে হয়।