ওইখানে চেয়ে দ্যাখ… কলরব
জেগেছে কিসের যেন…
ওই আর কি! নাক সিঁটকে বললে, “ঐ
নোংরা ভিখিরিগুলোর মরেছে একটা”
চল তো এগিয়ে দেখি…
ভিড় ঠেলে এগুলাম।
শহরের ধুলো আর ঘামের গন্ধ
নাকে সুড়সুড়ি দিচ্ছিল।
“কিসে মরলো হে?”
“না খেতে পেয়ে”
“শালার জানোয়ার গুলো এত পয়সা পায়
দ্বিবা-দ্বিপ্রহর…
তাও শুয়ারদের পেট ভরে না”
মুখ বিকৃত করে বললে তুমি!
পাগলিনী বসেছিল একটা…
স্থির নয়নে গিলছিল সবকিছু।
আলুথালু বস্ত্র আর জটায় ভরা চুল…
গালে এক ফোঁটা অশ্রু…
“ঐ হারামজাদী কে রে? ঐ শালার
বৌ নাকি?”
তোমার চোখে লোলুপ দৃষ্টি… গা আমার
গুলিয়ে ওঠে…
“লাশটা সরান না মশাই… পঁচে গন্ধ
হবে যে…
ঐ দেখুন কুকুরের
মেলা বসেছে চারিধারে…”
কিন্তু…
কুকুরের চোখে অশ্রু কেনো ???
আবারো তুমি কথা বলে উঠলে…
“এই শালা কুকুরগুলোর ভিমরতি হল
নাকি?”
নাকি ওদের দলের একজনের মৃত্যু বেদনায়
ওদের এই কান্না…?
জানিনা ।