"কাকতালীয়" বলনীর কাক টা হয়তো আমিই,
কোথাও আমার একটু বাঁচার আভাস,
অথবা ভালোবাসার প্রতিদানে আমার নাম,
মিলেনি ! রাস্তার বালুগুলোর একটি বালু-কণার মত দামি,
আমি।


রাস্তায় গরম ধুলো মুড়োতে মুড়োতে প্রায়ই ভাবা হয়,
ক্লাস ফাইভ, এইট, টেন টুয়েলভ। ফল বলা লাগে মাথা নিচু করে।
শুধু শুধু বাবার টাকা পয়সার ক্ষয়।
বন্ধুদের ভিক্টরির ছবিতে , আমি থাকতাম সরে।


পরী আমার ভালোবাসে নি,
বাবা-মার পছন্দতেই তার ভবিষ্যৎ,
বাসবেই বা কেন ভালো? কি আছে আমার? কোথায় পড়ি আমি?
আমার কাল, নাম না জানা ঋতু, আর পরীর? হেমন্ত, নাহয় শরৎ।


ছোট বেলায় আলো নিভলে, গুঁটি সুটি করে শুতাম মায়ের কোলে।
"মা? মানে কি গো আমার নামের?"
"এক ফেরেস্তার নাম বাবা, যে জান্নাত আগলে রাখে"
বড্ডো বীর বীর লাগতো নিজেকে।


নৈরাশা, পরাজয়, না পাওয়া, খুব কষ্ট দিতো আমায় ,
যেনো জন্ম নিয়েছি কষ্টের জন্য । হতাসা,ব্যর্থতা,পরী।
এর চেয়ে যেনো মরণ বড্ড আপন। আজরাইল যেন মাথায় হাত বুলায়।
ব্লেড আর শীরা যেনো যেতে চায় না কাছে,যতই চেষ্টা করি।


ঠিক তখনই, চাঁদের এক টুকরো আলো এসে পরে আমার বাঁ চোখে,
মনে হয় মুছে দিচ্ছিল, চোখের নিচের চাঁদের আলো,
মা যেমন আলতো করে কপাল থেকে মাথায় হাত বুলাতো?
যেভাবে ব্যাথের জায়গা বাবা ভ্রুকুটিয়ে ধরে বলতো "কিচ্ছু হয় নি বাবা"


যেনো ওই সময়েও অভাগা বাবা মা আমার আবার জীবন দিলো,
শুষ্ক হাত আর লাল চোখ দুজনের, আমার হাসি দেখবে বলে।
আশা ক্যামনে আমার আকাশ সমান দেনা ভুলিয়ে নিলো?
অমন হলে বাপ-মার দেনা কমাবো কোন কালে?


আমার নাম সার্থক করতে হবে তো আমায়!
জান্নাত আগলে রাখতে হবে !
বাবা মার মুখে কষ্ট নয়, সুখের হাসি,
আর তাদের সামনে বল্লম হাতে তাদের গর্ব দাঁড়িয়ে রবে !


আমি মৃত্যু মানবো না, আমার মৃত্যু দেখতে নেই,
বাবা-মার মুখে কষ্ট মাখা হাসির দাম দিতে হবে আমাকেই।
আমার কষ্ট পাওয়া মানা !
আমার জীবন তাদের জন্য, আমি তাদের জন্য কেনা !