কি অদ্ভুত তাই না??
ঊনত্রিশ এ পা দিতে তোমার এখনো দুই বাকি
আর আমার ঊনত্রিশ এ পৌঁছাতে সাতাশ
একদম বিপরীত !!
তোমার ঊনত্রিশ বিয়োগ দুই সমান সাতাশ
আর আমার দুই যোগ সাতfশ সমান ঊনত্রিশ।


এত বিপরীত মুখি হলে কি আর দু"জনে
ঊনত্রিশে পৌঁছানো যায়??
যায় না---


আসলে ব্যাপার কি তা জানো??
তোমার বিপরীত মুখি ভাবনা
হ্যাঁ আমার ও অবশ্য তাই!!
এ জন্যই আর দু'জনে ঊনত্রিশ ভূমিতে পা রাখা হলো না।


তোমার মনে আছে যখন আমি আর তুমি
গোপনে অভিসারে বের হতাম
দু"জনে যখন রুপসা নদীর মোহনার মত এক স্থানে মিলিত হতাম
তখন কেন জানি না!
তোমার কাল কামিজ আর আমার কাল পাঞ্জাবি
মিলে মিশে এক হয়ে যেত,
তুমি চোখ টিপ দিয়ে হাস্য জ্বল বদনে বলতে
দেখেছো-- আমাদের কি ক্যামেসট্রি।


তারপর... তারপর সেই রৌদ্রতপ্ত দুপুরে তোমাকে কাছে পাবার জন্য
গগন পানে চেয়ে আমি শীতল হবার জন্য বৃষ্টি চাইতাম বৃষ্টি
মনে আছে তোমার......
সেই আকুতি যেন নিমেষেই কাল মেঘের গর্জন হয়ে ঝরে পড়তো
তোমার ফোলা ফোলা দু"গালে।


ভুলে গেছ তুমি???
সত্যি ভুলে গেছ? সেই ছলাত ছলাত বৃষ্টিতে তুমি আমি
আমি তুমি!
মিলে মিশে একাকার সলিল লীলাভুমিতে
যেন কৃষ্ণচূড়ার লাল লাল
সব ফুল সব পাতা ছুঁয়ে ধুয়ে
তোমার কাল চুলের ডোগার মত
ক্লান্ত শরীরে টুপ টুপ করে শব্দ তুলতো।


হা......হা.... হা ভুলে গেছ বোধহয়??
তখন ও তুমি বলতে--
দেখেছো আমাদের কি ক্যামেসট্রি!!
তুমি চাইলেই যেন প্রকৃতি তোমার পায়ে কুর্নিশ করে।
কি দরুন তোমার চাহনি।


কিন্তু সত্যি কি আমাদের কোন ক্যামেসট্রি ছিল???
ছিল না।
কেন জানো...........
আমার শতবার বারণ অনুরোধ ছিল অকারণ.......


তোমার বোলতা র বাসা করা কানে
জমাট বেধে ছিল
কাঁঠালের আঠার মত।
যেখানে শুধু মধু খোরের বোলতা র ভন-ভানানি
তোমার কি সাধ্য আছে বলো-
সেই ভঙ্গুর মাটি সরাবার।
কারণ তুমি তো তোমার বোলতা র দেওয়া সম্মান হারাবে
বোলতা রানী।
বোলতা রাণীর অহংকার।


                                                           রচনাকাল-----
                                                         খুলনা সদর থানা
                                                         ০২।০২।২০২০ খ্রিঃ