যদি সেই পথের বাঁকে
ফুল ফাগুন আর গাছের শাখে।
মৌমাছিরা মধু ঘিরে
কোকিল শালিক আসেই ফিরে।
তুমি কি গো আসবে ফিরে?
খড়কুটার সেই পাখির নীড়ে।


দক্ষিন হাওয়ায় আঁচল ছোয়া
জোসনা সে রাত ফিরে পাওয়া।
জোনাক পোকার সাথে হাসি
রাখাল যদি বাঁজায় বাসি।
তুমি কি গো আসবে ফিরে?
পাহাড় ঘেরা নদীর তীরে।


হয় যদি সেই মেঘের খেলা
শিউলি ফোঁটা সকাল বেলা।
কিংবা সেই কুয়াশা দিনে
দোয়েল ডাকা পিয়াল বনে।
তুমি কি গো আসবে ফিরে?
দূর্বাঘাসের শিশির হয়ে।


ঘাটের মাঝির ভাটির গানে
কূলের ধারে কাশের বনে।
আবার কোন বছর শেষে
নতুন বছর নতুন মাসে।
তুমি কি গো আসবে ফিরে?
আম কাঁঠালের মধু মাসে।


আবার যদি ব্যাঙের ছাতা
মাটি ফুঁড়ে উচায় মাথা।
কিংবা সেই কলমি লতা
নোলক নেড়ে কয় সে কথা।
তুমি কি গো আসবে ফিরে?
সবুজ সবুজ পাতার ভিড়ে।


যদি সেই ধানের রাশি
চাষার মনে ফোঁটায় হাসি।
কিংবা কোন বর্ষা দুপুর
রিনঝিনিয়ে বাজায় নূপুর।
তুমি কি গো আসাবে ফিরে?
স্বাধীন পাখির পালক হয়ে।


আমি ওগো থাকবো বসে
বকুল ছায় গাছের পাশে।
তুমি এসো বধুর বেশে
সোনাঝরা ধানের কেশে।


রচনাকাল
১৫-০৭-২০০৫ ই।