বেশ তো আছো!
বেশ ভালোই যাচ্ছে তোমার দিনকাল।
সেই চেহারা, সেই মাধুর্য, সেই রুপ- লাবণ্য।
সেই তুমি, তোমার ছড়ানো, ঝলসানো বাহার।
সেই কালো টিপ, মায়াভরা চোখ, কাজলে ঘেরা দিঘি।
এলো চুলেতে আজও তুমি, রাঙানো গোলাপ ঠোঁট।
নীল শাড়িতে জড়ানো শরীর, বক্ষে শুধু অন্য।
অথচ আমায় দেখ, সেই তোমারই, আজ সেজেছি বন্য।
লাল চুড়িতে পূর্ণ হাত, পায়েল তোমার পায়।
এতটুকু সাজ কমেনি তোমার, দিন গুলো বেশ যায়!


৮ বছরের দীর্ঘ বিরতির খবর, মাত্র ৮ মিনিটেই বুঝে গেলে!
বুদ্ধি তোমার বেশ হয়েছে! ছেলে,আমি সত্যিই, ধন্য।
নীল শাড়িটাই দেখলে কেবল! আর তাতে জড়ানো নীল কষ্টটা!
কাজল ঘেরা দিঘিই দেখলে! আর কাজলের নিচে নির্ঘুম রাত্রির-
কালো আস্তরণটা! শুকনো দিঘির কান্নাটা! হাহাকার টা!
গোলাপ পাঁপড়ি ঠোঁটই দেখলে কেবল! আর দীর্ঘকাল ঠোঁটের-
না বলা কথা গুলো! তোমার প্রিয় আমার এ মুচকি হাসিটা!
কপলের কালো টিপটাই দেখলে শুধু! আর এর অন্তরালে-
লুকিয়ে থাকা আঁধার নিশির গল্প গুলো! তার কারা বাসে-
থাকা স্বপ্ন গুলো! হ্যাঁ, বেশ তো আছি আমি! তাই না!
ছেলে! কখনও জানতে ইচ্ছা করে না- আমার থমকে থাকা-
সেই স্বপ্ন গুলো পূরণ হয়েছে কিনা? জানতে ইচ্ছে করে না-
আজ আমার ছড়ানো চুলে রক্ত জবা নেই কেন? মুখে সৌন্দর্য-
এখনও আগের মত বর্ধিত নয় কেন! হাসিতে প্রাণ নেই কেন?
ইছে করে না জানতে! এখনও সেই তুমিতে ডুবে থাকি কি না?
কখনও আমার দেয়া ডায়েরীটা খুলে দেখছিলে! দেখনি বোধ হয়!
কখনও আমাকে পড়তে ইচ্ছে হলে, খুলে দেখ ডায়েরীটা। যদি-
তখন অন্তত মনে পড়ে বৃষ্টিস্নাত বৃষ্টিদিনের কথা! আমি তোমারই-
সর্বদা। এ তোমার দিবা স্বপ্ন নয়। রঙিন খামে মোড়ানো তোমারই বৃষ্টি।।।