আবার এসেছি ফিরে       এই  ধরিত্রীর   তীরে
                          দহি কুব্জটিকা,
কে বলেছে আমি নেই     আমি বিভিষিকা সেই
                        ক্ষিপ্ত নীহারিকা।
অগ্নি সম  মম রূপ           বিচ্ছুরি   হীন  বিদ্রূপ
                        মানবের তরে,
আসিয়াছি আমি ওরে      আসিয়াছি কলবরে
                        দৃপ্ত অসি করে।
কোথা তোর রুদ্র টিকা     কোথা সেই হিমশিখা
                        ধরি বক্ষ প'রে,
উচ্ছলি   তরঙ্গ   রাশি     পড়িতেছে নিত্য আসি
                        ধরনীর পরে।
কে রুধিবে হেন বীর্য           বাজাইয়া   রণ তূর্য
                        অসীমের মাঝে,
কে ফিরাবে রথ গতি        কে হবে   বীর সারথী
                        লক্ষ হীন কাজে।
সঘন তিমির রাত্রি             দিশাহীন  এ ধরিত্রী
                       কে বাঁচাবে তারে,
এ কর্ণ কুহুরে  আসি       কি যেন বেসুরো বাঁশী
                       বাজে বারে বারে।
আজিকার প্রশ্ন বান            ক্ষুধিতেরে অন্নদান
                       কে বিলাবেন তা,
ভাগ্যরূপ ধরে  আসি      অলক্ষ্যে  বিদ্রূপ হাসি
                       হাসেন ‌ বিধাতা।
ক্ষমতার  উচ্চাসনে         অকাল   সমুদ্র  বানে
                      হেন     মহামারী,
বুভুক্ষের ক্রন্দন ধ্বনি        উথলিছে বক্ষ হানি
                     কে আছ কাণ্ডারি।
ত্রাসিতে নাশিতে প্রাণ         জীবনের অর্ঘ দান
                      বিষাক্ত নিঃশ্বাসে,
কে আছ হে নটবর            তুলে ধর   ঊর্ধ কর
                      উন্মুক্ত  বাতাসে।
আনিবে পর্বত ছানি             মহামৃত সঞ্জীবনী
                     পৃথিবীর    তরে,
পাণ করি সেই সুধা            জাগিবে এই বসুধা
                     দীর্ঘদিন পরে।
স্থলে জলে বনতলে             মুকুলিত ফুলদলে
                    খুলিবে   কপাট,
উদিবে রবির  কর             পূণ্য  আনন্দ  লহর
                    মুক্ত-হৃদি-ঘাট।
ফেলিয়া পঙ্কিল সাজ         লুপ্ত হবে মৃত্যুরাজ
                      অদৃশ্য   দানব,
আজি এ পূণ্য প্রাতে          ছুটে যাবে পূণ্য ব্রতে
                      নিখিল   মানব।