এক শ্রাবণে বর্ষা মেঘের তলে,
তোমায় দেখেছিলাম অপরিচিতদের দলে।
কেমনে করে আমার পানে মুগ্ধতার দৃষ্টি ছুঁড়লে,
আমরণের তরে বন্দী হলাম আমি তোমার স্মৃতির কবলে।
বছর ঘুরে শ্রাবণ বারবার আসে ফিরে,
ফিরে আসে না সে চোখ জোড়া যা দেখেছিলাম ভিড়ে।


এক হেমন্তের মৃদু শীতের রাতে,
তোমার গানের অদ্ভুত মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়েছিল ছাদে।
কেমন করে হৃদ যন্ত্র ছুঁয়ে ছিলে অদৃশ্য হাতে,
আজও শিউরে উঠি সেই কোমল ব্যথাতে।
সেবার সকাল বেলার রোদে,
হেঁটেছিলাম আমি ব্যস্ত নগরের ফুটপাতে অপেক্ষার আনন্দে।
হঠাৎ করে চোখ পড়ে উদ্বিগ্ন চোখের তরে,
যে চোখ আমায় খুঁজছিলো আমায় ভিড়ে।
মনের কথা মনেই রইলো,চোখে চোখেই হলো সকল কথা সাড়া,
দৃষ্টি সীমার কিছু বাইরে যখন গেলে,তখন দৃষ্টি আলাপে লাগলো তুমুল নাড়া।
ধোঁয়াটে হলো দৃষ্টি সীমার সবই,
রইলো শুধু তোমার মুখের ছবি।
সেই ধোঁয়া এখনো ঘিরে আছে আমায়,
দেখিনি আর কখনো তোমায়।


যদিও তেমনই হেমন্ত ফিরে ফিরে আসে আমার চারিপাশে,
কিন্তু আমার বাতাসে আজও তোমারই শূন্যতা ভাসে।