জীর্ণ শরীরে গোপন অসুখেরমতো
পাল্লা দিয়ে বাড়ে
দুঃখের চারাগাছ।
আর দুঃখটাকে উপড়ে ফেলতে গেলেই
বাতাসহীন হয়ে যায় ফুসফুস
মনে হয় এই বুঝি মরণ।
নির্লজ্জ প্রতিযোগীতায়
বুকের উর্বর ভূমি থেকে
ফুসফুসে গেথে যায় শিকড়।
আমি দুঃখকে ছেড়ে যেতে চাই
দুঃখ আমায় ছাড়েনা,
গোপন প্রেমিকেরমতো বেঁধে রাখে।
জীবনের শুরু থেকেই
সেই যে পিছু নিয়েছে, তারপর
একটা মুহূর্ত আমায় ছাড়েনি।
আমি তাদের সরাতে গিয়ে
বারবার ব্যর্থ হই
পরম মমতায় খুঁজি এপিঠ-ওপিঠ।
দুঃখের উল্টো পিঠেও
দুঃখই জেগে থাকে
চৈত্রাগুনে পুড়ে যাওয়া মাঠেরমতো।
আমার উদ্বাস্তু জীবনে
দুঃখ এসেছে দীর্ঘ দিনের,
কাংখিত সন্তানেরমতো।
যুগল চাঁদের হাসি নিয়ে
আজ নীরব বারান্দায়
অবিরাম খেলা করে।