শেষ বেলার বিষণ্ণ সিঁড়ি বেয়ে-
তন্দ্রাছন্ন গোধূলির বুকে পথ খুঁজে-
যখন ফিরে যায়,ঝাঁক বাঁধা বলাকার দল।
তখনই বিস্মিত মনের দ্বারে টোকা মেরে-
কে যেন দিয়ে যায় কিছু পুরোনো খবর।
                      -
চঞ্চল স্মৃতির ঘেরাটোপে আবদ্ধ পিঞ্জর,
রিক্ত হৃদয়ে অভিমানী লুকানো আবেগ,
গোধুলির রক্তিম সাজে,নমনীয় আঁখি পল্লব।
পরিযায়ী বিহঙ্গের মান-অভিমানে মেশা,
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের,বেদন দোলায় স্তব্ধ কলরব।
                      -
সাঁঝের আকাশে ছিল,হরষের বহিঃপ্রকাশ,
ঠোঁটের কোণে অপ্রয়োজনী ভাষার প্রকাশ,
শিরা-উপশিরা জুড়ে,তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস।
সামান্য স্পর্শে,অসামান্য অনুভূতিতে-
জেগে ওঠা হাজার প্রতিশ্রুতির আবাস।
                     -
সান্ধ্য বাতাসে এলোচুলের অবাধ্যতা,
চোখের কোণে না বলা কথার ব্যাকুলতা,
এক পৃথিবী সুখের গভীরতা।
স্নিগ্ধ বিকেলে আজও বিশ্বাসে ভরে-
বেড়ে ওঠে সুপ্ত ইচ্ছার, ছোট্ট আশালতা।
                       -
কিছু ছোট বড় ভুলে,পৃথিবী ডিঙিয়ে-
শত সহস্র ক্ষত বুকের পিঞ্জরে বুনে-
পরিযায়ী আজ বহুদূরের অজানা প্রান্তরে।
রক্তাক্ত হৃদয়ের,তীব্র দহনে স্বপ্নেরা আজ-
ব্যার্থতার মালা গলায়, সময়ের সমাধি পরে।
                           -
আজও হারানো প্রতিশ্রুতির টানে-
পাখি ফেরে বনে বনে,ধূলি মাখা পথে-প্রান্তরে,
খোঁজে নীড়ে ফেরা বলাকার ভিড়ে।
বিষন্ন বিকেলের সিঁড়ি বেয়ে, ভুলে যাওয়া প্রতিশ্রুতি স্মরণে
যদি পরিযায়ী কভু আবার আসে ফিরে।।