ভুলে যাওয়া বেহালার করুণ রাগিণীরা
তোমার চোখে ক্ষয়িষ্ণু স্বপ্নের মতই ধরা দেয়;
শ্যাওলা পড়া পুরনো অট্টালিকার ভাঁজে
প্রতিধ্বনি তোলে অচেনা অশরীরী।
তেমাথার মোড়ে মাথার চুলে জট পাকানো
সেই যে পাগলটা- আজও আছে দাঁড়িয়ে,
এখনও সে স্বপ্ন বিলায়- এই শহরের বুকে।
ধূলিমাখা এ শহরের পথে প্রান্তরে-
ছুটে চলা দাপুটে হাওয়ার ভাঁজে ভাঁজে
নেচে বেড়ায় ছায়া ছায়া আঁধারের নিরেট কঙ্কাল,
গলি থেকে রাজপথ, পুরনো জঞ্জালের ফাঁকে
খোঁজে প্রদীপ-শিখার হারানো ইতিহাস;
নীল খামে বন্দী পাথুরে সভ্যতা, মাঝে কিছু
ফেলে আসা অমীমাংসিত জীবনের ভগ্নাংশ।
শীষকাটা বাতাসে ঘুমায় অবাঞ্ছিত হৃদপিন্ড-
যে মন স্বপ্ন দেখতে জানে না,
যে হৃদয় মরে গেছে বহু আগে;
পাশে গাছের ডালে ঘুঘুদের কোরাস,
যার সাথে এই হৃদবিহঙ্গের কোনই তফাৎ নেই।
একটু দূরে রঙিন আলোর ঝলকানি!
ঘুমন্ত নগরীতে জেগে ওঠে রাতের পানশালা,
অচেনা অপ্সরীরা মেকি সজ্জায় নিশি জাগে;
ভেতরে ভেতরে অবশ্য টের পায় গোঙানিটা-
জলন্ত অগুনের মত।