সে বলত পাব না জেনেও অহর্নিশি তোমার কথাই ভেবে চলি হেলায়,
বলত, তুমি দিস্তে দিস্তে কাব্য লিখবে আমি যুদ্ধে যাব শোষকের ডেরায়।


তবে আজ এত বছর পরে,
এই যে রাত দিনের এত গদ্য,এত ছন্দ,সুর,তাল,লয়--এর কোনো কিছুই আমার নামের না,আমাদের নৈবেদ্য না,
অথচ সবটুকুকেই যখন হেমন্তের আত্মহননের মতই আপন মনে হয়,
সে সব মুহূর্তেই বোধোদয় হয়,
সে আদপে এক মুহূর্তেও ভাবতেই পারেনি আমার কথা,যুদ্ধের কথা।।
নেহাৎই কাব্য ছিল সমস্তটাই।
সেসব কবিতার অন্তমিল নেই,নেই অমরত্বের স্পর্ধা।


গোধূলি বেলায় খোয়াই-র ধুলোয় চুমু খাওয়া যেমন ঝিমঝিমে সত্য,
তেমনি দিনের আলোয় হাজার হাজার চোখেকে সাক্ষী রেখে চুমু খেতে চাওয়ার ইচ্ছেরাও নিষ্কলুষ,দৃপ্ত।


তার আমায় মনে রাখার দায় নেই।
মনে নেই পরজনমের প্রতিশ্রুতি,মন কেমনের ধূ ধূ বিকেলের সুখ সুখ টুপটাপ আলো মনে নেই।


তবুও,  যে ছেলেটা প্রেমে পড়ত দিবারাত্র
সে এখন বিশ্বাস করে তোমায় পাওয়ার পরে, চাওয়া যায় না কিছুই!
হ্যাঁ,ছেলেটা পেয়েছে তোমায়,গল্পের পাতায়,চাঁপা ফুলের সুবাসিত বারান্দায়।


যে ছেলেটা বিপ্লবের স্বপ্ন বুনত
অবশেষে সে জেনেছে,সে আসলে শিক্ষিত-ই হয়ে উঠতে পারেনি খাতা-কলমের পরীক্ষায় ।।